९२ বামণরচনাবলী । লজ্জা । লজ্জা দুই প্রকার, তন্নধ্যে একটি মনুষ্যকে পাপ কৰ্ম্ম হইতে বিরত রাখে, অন্যটি স্ত্রীলোকের। স্ত্রীলোকেরটি এই প্রকরণে লেখা যাইতেছে। “ স্ত্রীলোকের লজ্জাবতী হওয়া উচিত ” এই কথা পৃথিবীতে এমন কোন জাতি নাই যাহারা অস্বীকার করেন। লজ্জা সকল দেশীয় স্ত্রীলোকের হৃদয়ে আছে। এই মাত্র বিশেষ যে কাছার হৃদয়ে অধিক, কাহারও হৃদয়ে অলপ। সামাজিক রীত্যনুসারে উহা প্রকাশের নিয়ম দেশ ভেদে ভিন্ন প্রকার, একদেশে যাহা লজ্জার চিহ্ন বলিয়া গণিত হয়, অন্য দেশে উহা নির্লজ্জতার চিহ্ন বলিয়া পরিগণিত হয়। ইউরোপ আমেরিক প্রভৃতি সভ্যতম দেশে মৃত্য গীতাদি করিলে তদেশীয় স্ত্রীগণ প্রশংসনীয়া হন এবং তাছারা সকলের সহিত আলাপ ও প্রকাশ্য স্থানে গমনাগমন করিয়া থাকেন। বঙ্গীয়া স্ত্রীগণ তদ্রপ করিলে প্রশংসনীয়া হওয়া দূরে থাকুক, জঘন্যরূপে নিন্দনীয়া হইয়া থাকেন এবং প্রকাশ্য স্থানে গমনাগমনের ও সকলের সহিত আলাপের পরিবর্তে অৰগুণ্ঠনের দ্বারা মুখ আচ্ছাদন করিয়া থাকেন ও কাহারও সহিত আলাপাদি করেন না।