পাতা:বামারচনাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যা ব্যতীত স্ত্রীলোকের মন কি প্রকার। এতদেশের স্ত্রীলোকো অম্পবুদ্ধি বলিয়া সৰ্ব্বদা অহঙ্কারিণী হয়, মনুষ্যকে মনুষ্য জ্ঞান করে না, সকল ব্যক্তিকেই ঘৃণা ও তাচ্ছল্য করিয়া থাকে। হায় ! বিদ্যারূপ জ্যোতিঃ যাদ্ধাদের হৃদয়ে প্রকাশিত হয় নাই, তাছাদের মন যে অহঙ্কার ও মাৎসৰ্য্য মেঘে আবৃত থাকিবে ইছা অসম্ভব নছে। কারণ অনেকে ঐশ্বৰ্য্য ও রূপমদে মত্ত হইয়া বিদ্যাভ্যাস কি ঈশ্বরোপাসনা কিছুই করিতে চাছে না। হায়! জগদীশ্বর কি তাছাদিগকে এই জগতে হিংসা দ্বেষ ও পরনিন্দ করিতেই সৃষ্টি করিয়াছেন ? তাছারা মনে করে যে এই রূপও এই ঐশ্বৰ্য্য “ অজয়ামরবৎ’ হইয়া ভোগ করিব। হায়! তাহারা অনুভব করিতে পারে না যে, কালে সকলই নষ্ট হইবে ; এই জগতে কিছুই স্থায়ী নছে । এই জগৎ পরীক্ষার স্থল—মুখের স্থল নছে ইহা তাহদের হৃদয়াকাশে কখনই উদিত হয় না। হুইবার সম্ভাবনাই কি ? যাহারা গৃছে যাবজ্জীবন বদ্ধ থাকিবে, বিদ্যার মুখ কখন দেখিতে পাইবে না, তাছারা কিরূপে মনের ভ্রম দূর করবে ? ভারতভূমি স্ত্রীলোকদিগকে অন্ধকূপে ফেলিয় রাখিয়াছে। তাহারা চক্ষু থাকি