পাতা:বামারচনাবলী - প্রথম ভাগ.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$3 বামণরচনাবলী । ঐ সকল মনোবৃত্তি যথা নিয়মে পরিচালনা করিলে অপূৰ্ব্ব নিৰ্ম্মল মুখ উপভোগ করিতে পারা যায়, কিন্তু আক্ষেপের বিষয় এই যে বিদ্যাশিক্ষণভাবে স্ত্রীগণের মনোবৃত্তি মার্জিত না হওয়াতে র্তাহার একেবারে ঐ মুখ হইতে বঞ্চিত হইয়াছেন। অম্মদেশীয় মহিলাগণের জীবন পশুজীবন তুল্যই বলিলে অত্যুক্তি হয় না। যেহেতু তাহারা কেবল কতকগুলি জঘন্য নিরুষ্ট প্রবৃত্তির বশবর্তী হইয়া বন্য পশুর ন্যায় আহার বিহারেই রত থাকিয়া কালক্ষেপণ করিতেছেন। বিদ্যাভাবে, সত্য-ধৰ্ম্মভাবে উহঁারা কি না নীচ কৰ্ম্ম করিতেছেন ? নিদাৰুণ মুখত বশতঃ কে না উছাদিগের মধ্যে হিংসা প্রভৃতি নিকৃষ্ট বৃত্তির বশবৰ্ত্তী হইয়া দেববৎ মনুষ্য প্রকৃতিকে পশুভাবে পরিণত করিয়াছেন ? স্ত্রীগণ গুণবতী হইলে পুৰুষদিগের কৰ্ত্তব্য ভারের অনেক লাঘব হইবে ইহা বলা বাহুল্য। অনেক গুলি কর্তব্য কৰ্ম্ম এইরূপ আছে যে তাহা পুৰুষাপেক্ষা স্ত্রীলোক দ্বারা সুন্দর রূপে সম্পন্ন হইতে পারে। শিশু সন্তান শৈশব কালে স্বীয় জননী ভিন্ন আর কাহাকেও জানে না, তৎকালে মাতা তাহাকে যাহা বলেন সে তাই করে, যাহা শির্থান সে তাই শিখে । সুতরাং জননী যদি নিজে রীতিমত বিদ্যো