পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারাগারে নূতন জীবন So প্রক্রিয়া ধরিয়া ধ্যান ও বিচার করিতাম। শ্ৰীরামকৃষ্ণের কথামৃত হইতে চিন্ময় সমাধির ধান পাইয়াছিলাম,-সে যেন অনন্ত চৈতন্যময় আকাশে পাখা মেলিয়া পাখী উড়িতেছে, যেন বামে দক্ষিণে অধঃ উৰ্দ্ধ পরিপূর্ণ নিথর জলরাশি আর সাধক তাহার মাঝে কুম্ভ । দেবব্রতও আমার তখনকার সাধনায় অনেক সাহায্য করিয়াছিল । সে নিজের প্রক্রিয়া আমার মাঝে সঞ্চার করিয়া দিত, সে যাহা চুহিত, ধ্যানে আপনি আমার মধ্যে তাহা আপনি জাগিয়া উঠিত। এমনি করিতে করিতে যখন দায়রার বিচার সমাপ্ত হইল, তখন আবার আমায় একান্তবাসে সাত মাস মৃত্যু-দণ্ড সম্মুখে করিয়া সাধনা করিতে হইল। আমি ছিলাম ফাসীর ঘরে, সারা দিবা রাত্রের মধ্যে কাহারও মুখ দেখিতে পাইতাম না, পাশের ঘরে উল্লাস ছাড়া আর কাহারও সহিত লুকাইয়াও কথা কহিতে পাইতাম না। উল্লাসও তখন আমার মতই মৃত্যুপথের যাত্রী। তখন আমার সাধনে এত জপ তপ ধ্যান আদি প্রক্রিয়া জুটিয়াছে যে, তাহা করিতে আমার চোঁদ ঘণ্টা সময় লাগিতা। আমার ঘরে যে কয়জন প্রহরী পালাক্রমে পাহারা দিত, তাহার মধ্যে লা-ছিল এক গৃহী সাধকের চেলা । বৎসরে একবার সে সাধক BBD DDD KBBBD DDD DBS DYJ BBLBD DBDDBBD S তাহার কাজ ছিল, কোন বৃক্ষতলে বা মন্দিরে বসিয়া ভাগবত পাঠ, সে পাঠের আকর্ষণে বিশাল জনতার সে-স্থানে মেলা বসিয়া যাইত ; এমনি করিয়া সাধকের অর্থ উপার্জন আপনি হইত। লা- নিতান্ত নির্বন্ধতিশয়ে তাহাকে সাধনা দিবার জন্য ধরিয়া পড়িলে, সে কাগজে একটি পদচিহ্ন অঙ্কিত করিয়া দিয়াছিল। সেই চিহ্নটি মাথার উপর রাখিয়া তাহারই ধ্যান করিতে হইত। এইরূপ দশ বার দিন করিবার পর একদিন স্নানের সময় কলের জল মাথায় পড়িতে পড়িতে এই ধ্যান আপনি জাগে এবং লা-অচেতন হইয়া পড়ে। সেই অচৈতন্য অন্তমুখ দশায় সে পুলিশ হাসপাতালে পািনর দিন ছিল, সেই অবস্থায় কত কি