পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরবিন্দের সাধন লাভ Վ0@ মৃত্যুভয়হীন বালককে এক পথ চলিতে হইবে। আমার মন এইবার wাইতে সকল দ্বন্দ্ব, সন্দেহ, বিচার ত্যাগ করিল ; পরের মুখ চাওয়ার দুর্বলতা ছাড়িয়া, এই নূতন মুক্তির বলে মন যেন বলিয়া উঠিল, “আমি BB KS DD BB KB D DD DDLDDDDL D BBBD SS চিরদিন বিপদে আশ্রয়হীন দশায়, অভাবেই আমার এইরূপ অসীম সাহস জাগে, আজও জাগিল । এই সময়ের কথা বলিতে গিয়া উপেন তার নির্বাসিতের আত্মকথায় বলিয়াছে, “চারিদিক হইতে একটা হৈ হৈ রৈ রৈ সাড়া পড়িয়া গেল, ক্ৰমাগতই নূতন নূতন ছেলে আসিয়া জুটিতে লাগিল।” ছেলে জোটান। আর শক্ত কি ? তখন চারিদিকেই অনুশীলন সমিতি, আত্মোন্নতি সমিতি, সুহৃদ সমিতি কাজ করিয়াছে, একটা কিছু খুন খারাবী করিতে হইবে, এ ভাব বাঙলার সকল জাগা তরুণ প্ৰাণগুলিতে জাগিয়াছে । আমাদের জেলায় জেলায় ছোট ছোট আডিডাগুলিতে চিঠিবাজী করিবামাত্রই ছেলের দল হু হু করিয়া আসিতে লাগিল। কিন্তু টাকা কোথায় ? এ কাজ তো চাদার টাকায় হয় না । টাকাও কিন্তু এই কয় মাসে যত পাইয়াছি, এত আর কখনও নয়, সে সব কথা এই কাহিনীর প্রথম খণ্ড বোমার কথারই भल्ल ब्ल, श्न्न ऊ' ङठ@नश्रियः । টাকা কিছু জুটলেও কিন্তু অভাবের তুলনায় তাহা মরুর মাঝে জলের ছিটা । অভাবের সহিত যুদ্ধ করিয়া, দেশের হৃদয়হীনতার বিরুদ্ধে গুণ টানিয়া টানিয়া, প্ৰাণ মন যখন হাঁপাইয়া উঠিত, তখন লেলের দেওয়া সাধনাটুকু লইয়া ধ্যানে বসিতাম। কিন্তু আমার তো সত্য সত্য তখনও ভগবান পাওয়ার দরকার ছিল না, ভগবান কি বস্তু, মানুষের জীবনই বা সে পরশ রতন স্পর্শে কিরূপে রূপান্তর হয়, শক্তিতে জ্ঞানে ভগবৎ সত্ত্বায় পূর্ণ হয়, তাহা তখন বুঝিতাম না । আমার ভাবনা, চিন্তা, ধৰ্ম্ম, কৰ্ম্ম, জপ, তপ, সব ছিল দেশ | ভাবিতম ‘এই দেশই তো ভগবানের বিগ্ৰহ, এর পূজাই পৱা-পূজা। কিন্তু কাহার বিগ্ৰহ, কই সে ভগবান, যিনি এই আসিন্ধুহিমাচল বিগ্রহে রূপ লইয়া