পাতা:বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী - বারীন্দ্রকুমার ঘোষ.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO ਣPਵ ਬੇਵ oਕ ਵੇਫ বোধ হয় বেলা চারটার সময় আমাদের ধরিয়া চালান দিল । ছেলেদের লালবাজারের পুলিশ লক-আপে রাখিয়া আমাকে কোথা দিয়া কোথায় লইয়া গেল, আজ আর তাহা মনে নাই । লালবাজার হইতে একজন বাচ্চ সার্জেণ্ট সঙ্গে দিয়া আমাকে ডিটেকটিভ অফিসে পাঠান হইল। সার্জেন্টটি নিতান্ত নাবালক, বয়স বোধ হয় ষোল কি সতর, সেই দুগ্ধপোষ্যের হাতে আবার গুলি ভরা পিস্তল । কলিকাতার জনবহুল রাস্তা দিয়া সে আগে আগে চলিল, আমি হঁটিয়া তাহার পিছু পিছু চলিলাম। পলাইলে বোধ হয় গুলি করিত, লাগিত কি না লাগিত, সেটা ভগবানের হাত। তবু পলাইলাম না, বলিয়াছি তখন আমি মরিয়া-বড় অভিমানে ক্ষোভে ব্যর্থ আশার খেদে স্থির করিয়াছি, এ বিষ কণ্ঠ ভরিয়াই আমি পান করিব। তাহার ইঙ্গিতে ট্রামে উঠিলাম, কত চাকুরীজীবী তখন সেই ট্রামে আশে পাশে ঘরে ফিরিতেছে, কত হোমরা-চোমরা চশমাধারী চেন-বাহারী বাবু অৰ্দ্ধ নিমিলিত নয়নে আনমনে চুরুট খাইতেছেন। র্তাহারা জানেন না, তাহদের পাশে আজ বারীন্দ্ৰ বন্দী হইতে চলিয়াছে। জানিলেই বা কি ? ভারত কি রাশিয়া না আয়ার্লণ্ড ? তখন আমি মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে বুঝিলাম, মনের খেয়ালে এতদিন / সবই করিয়াছি, শুধু দেশকে গড়ি নাই। যাহার জন্য রাজনীতিক মুক্তির এত আয়োজন, আত্মবলির এ অনুপম ব্ৰত, সে দেশই মুক্তির মৰ্ম্ম বুঝে না। মনে হইল আগে যাহা করি নাই, এখন ধরা পড়িয়া এ কয়টা জীবন