পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালচিকিৎসা ילפא כי বিনির্গত হয়, কিন্তু সরলারত জ্বরাপেক্ষ তাছাদের সংখ্যা মুনি। কখনই কণ্ঠ পীড়া ও জ্বর ব্যতীত অন্য কোন লক্ষণ থাকে না। প্রায় প্রথম হইতেই কণ্ঠদেশে বেদন এবং তজন্য গলাধঃকরণে কষ্ট বোধ হয়, বলিতে কি, পানীয় দ্রব্য গলাধঃ কৃত না হওয়াতে নাসিক দ্বার দিয়া পুনর্নির্গত হয়। তালু ও অলিজিহবা রক্তিমাবর্ণ ও স্ফীত, জিহ্বা লোহিত বর্ণ, মধ্যস্থল লেপযুক্ত এবং কণ্ঠনলীর শ্লৈয়িক ঝিল্লী গাঢ় শ্লেয়ায় আচ্ছাদিত। কখনই প্রবল পীনস্ হইয়া নাসিকা দ্বার হইতে হরিদ্রাবণ, বৃক্ষনিয়্যাসবৎ শ্লেষ্মা নিগর্ত হইতে থাকে, তাছাতে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাঘাত জন্মে । লালাগ্রন্থির প্রদাহ হুওয়াতে, তাহ অত্যন্ত স্ফীত ও উপলবৎ কঠিন হয়। এই প্রদাহ কাছার এক পর্শ্বে, কাহার বা উভয় পাশ্বে, কাছার বা ক্রমান্বয়ে দুই পাশ্বে হয়, এবং পীড়া প্রবল হইলে গ্রন্থির উপরিভাগে ও তৎসম্মুখস্থিত চৰ্ম্মে প্রদাহ হয়, তাহাতে অধোহস্বস্থি আর সঞ্চালন করা যায় না এবং দুর্বল শরীর তাহারণভাবে রক্ষণ করা কঠিন হয়। এতদ্ব্যতীত শারীরিক উষ্ণতা, নাড়ীর দ্রুতগামিত্ব এবং স্বল্প চাপনে তাহার গতিরোধ ও সৰ্ব্বাঙ্গীণ অসুস্থত। প্রকাশ পায়। পঞ্চম বা ষষ্ঠ দিবস হইতে তারক্ত চিকুগুলি বিলুপ্ত হইতে থাকে, এবং তৎসঙ্গে জ্বরীয় ও প্রাদাছিক লক্ষণ সকল অন্তৰ্ছিত ছয় । সপ্তাহ বা দশ দিবস পরে কণ্ঠ্যপীড়া আরোগ্য হয় |