পাতা:বালচিকিৎসা - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vog § বালচিকিৎসা | প্রকাশ পাইতে থাকে। সচরাচর ওষ্ঠ লোহিতবর্ণ এবং জিহবা আরক্ত ও মধ্যস্থলে শ্বেত লেপযুক্ত হইতে দেখা যায়। যে সকল লক্ষণ বর্ণিত হইল, তদ্বারা পীড়ার প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি হইবার সম্ভাবনা নাই, কিন্তু চিকিৎসক কিছু যত্ন করিলেই দেখিতে পাইবেন যে, শিশু নাসিকণদ্বারা শ্বাস গ্রহণ না করিয়া মুখদ্বারা গ্রহণ করাতে, জিহা শুদ্ধ হইয়া সৰ্ব্বদা স্তন্যপানের নিমিত্ত ব্যাকুল হয়, এবং স্তন্যপান করিতে চেষ্টা করিলে শ্বাসরোধ হওয়াতে ক্রমদন করিয়া উঠে। ইহাকেই ফুক্ষুস প্রদাহের প্রথমাবস্থা কহ যায়। এই অবস্থার শেষ হইয়া দ্বিতীয়াবস্থায় পীড়া পরিণত হইলে তখন ইহার প্রকৃতি সকলেই অনুভব করিতে পারেন । নিদ্রাবল্য, কাশ ক্ষুদ্র ও কষ্টজনক, ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক এবং অত্যন্ত উষ্ণ, কখনই এই উষ্ণতা ১০৪ তাপাংশে উত্থিত হইতে দেখা যায় ; শাখাদ্বয় শীতল, মুখমণ্ডল স্নান ও চিন্তাযুক্ত, নাড়ী কঠিন ও দ্রুত, নাসারন্ধ্র বিরত, শ্বাস প্রশ্বাস ঘন ও অত্যন্ত কষ্টপ্রদ, বমন, উদরাময় এবং অতিশয় পিপাসা, এই সকল দ্বিতীয়াবস্থার প্রধান লক্ষণ । শ্লেযু। নিঃসৃত হইলেও শিশুগণ তাহা ভক্ষণ করাতে উহার প্রকৃতি জনা যায় না । ভৌতিক পরীক্ষা । শ্বাস প্রশ্বাস কালে শিশুদিগের উদরাপেক্ষ বক্ষঃপ্রাচীরের চাঞ্চল্য অলপ, আবার এই পীড়ার দ্বিতীয়াবস্থায় উছার আরও হ্রাস হয়। আকগ্ন দ্বারা কেশ-ঘর্ষণ-শব্দ এই সময়ে স্পষ্ট শুনা যায়, কিন্তু তাহু যুবা ব্যক্তিদিগের ন্যায় বৃহৎ শব্দ নহে । কোন