পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একষষ্টিতম সর্গ। جسسسهي م 2۔بسـ তখন আমি মহর্ষিকে কহিলাম,—ভগবন! আমার শরীর বজ্রপ্রহারে ক্ষতবিক্ষত হইয়াছে, অনুচিত কাৰ্য্য নিবন্ধন লজ্জায় আমি আকুল হইয়াছি, এবং নিতান্ত পরিশ্রান্ত হওয়াতে সমস্ত কথার উল্লেখ করা দুষ্কর হইবে, তথাচ যতদূর পারি, বলিতেছি । একদা আমি ও জটায়ু, ইন্দ্র বিজয়বশতঃ গৰ্ব্বান্ধ হইয়া পরস্পর বিক্রম জানিবার ইচ্ছায় কৈলাসশিখরবাসী মুনিগণের সমক্ষে প্রতিজ্ঞা করিলাম, যাবৎ সূর্য্য অস্তগিরিশিখরে না যাইতেছেন তাবৎ আমরা ইহঁার অনুগমন করিব, এরূপ স্থির করিয়া স্পৰ্দ্ধাপূর্বক উভয়েই যুগপৎ আকাশে উড্ডীন হইলাম। দেখিলাম, পৃথিবীতে নগর সমুদায় রথচক্রের ন্যায় ক্ষুদ্র বোধ হইতেছে, কোথায়ও বাদ্যধ্বনি, কোথায়ও ভূষণ রব, কোথায়ও বহু অঙ্গন। রক্তবস্ত্রপরিধান করিয়া গান করিতেছে। ক্রমশঃ সূৰ্য্যাভিমুখে চলিলাম। বোধ হইতে লাগিল, পৃথিবীস্থ অরণ্য সমুদায় সাম্বল, বৃহৎ পর্বত যেন উপলখণ্ড, নদী সূত্রের স্যায় এবং হিমালয় বিন্ধ্য ও সুমেরু প্রভৃতি অতি মঙ্গ।গিরি জলাশয় মধ্যগত হস্তীর স্যায় প্রকাশ পাইতেছে । তখন আমাদের শরীর হইতে দরদরিত ধারায় ঘৰ্ম্ম নিঃস্থত হইতে লাগিল, নিতান্ত শ্রান্ত হইয়া দিগভ্রম উপস্থিত। হইল। মহাপ্রলয় কালে সমস্ত লোক দগ্ধ হইতে থাকে কিন্তু তখনই বোধ হইতে লাগিল, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভস্মসাৎ হইতেছে। অনন্তর আমার মন ও চক্ষু যেন হারাইয়। ফেলিলাম, তখন