পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্য-কণ গু } ዓ¢ প্রবৃত্ত হইলেন । বজ যেমন মহাসুরকে সংহার করে, তদ্রুপ রামের সেই সুবর্ণপুঙ্খ সপ্তম দীপ্তাগ্নিবৎ বাণ সমুদায় খরের সেনাগণকে ক্ষয় করিতে লাগিল । রাম শত সংখ্যক রাক্ষসকে শত, সহস্র সেনাকে সহস্ৰ কণি অস্ত্রে নিহত করিতে লাগিলেন । নিশাচরের ঐ সমুদায় অস্ত্রে ছিন্নবৰ্ম্ম, ছিন্নাভরণ, ছিন্নশরাসন হইয়া শোণিতাক্ত কলেবরে ভূতলে পতিত হইতে লাগিল । উহারা মুক্তকেশে সমর ভূমিতে পতিত হইলে রণস্থল কুশাস্তীর্ণ মহাবেদীর ন্যায় লক্ষিত হইল। তৎকালে সেই ঘোর দণ্ডকারণ্যে নিহত রাক্ষসদিগের মাংস-শোণিতকদমে নরকের ন্যায় বোধ হইতে লাগিল । এইরূপে এক মাত্র মানুষ পদচারী রাম অতি ভীষণ চতুর্দশ সহস্র রাক্ষস নিৰ্ম্মল করিলেন। এই সমস্ত রাক্ষস মধ্যে একমাত্র ত্রিশিরা, অবশিষ্ট রহিল । অন্যান্য অসহবিক্রম মহাবীৰ্য্য রাক্ষসেরা সমস্তই রাম কর্তৃক নিহত হইল । তদর্শনে বজ্রপ্রহীরোদ্যভ ইন্দ্রের ন্যায় থর মহারথে ধারমন হইল । সপ্তবিংশ সগ । খরকে রামের অভিমুখে যাইতে দেখিয়া সেনাপতি ত্রিশিরা নামক রাক্ষস তাহার নিকটে গমন পূর্বক কহিল, —রাক্ষসনাথ ! আমি একজন তোমার পরাক্রান্ত সেনাপতি । তুমি এই সমর হইতে বিরত হইয়। আমাকে যুদ্ধে নিয়োগ কর । তুমি দর্শন কর, আমিই এই মহাবল রামকে যুদ্ধে