পাতা:বাসন্তিকা - মনীন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১২
বাসন্তিকা
রাজা। না রাণী, তাইত এই অবিমৃষ্যকারিতার গ্লানি আমার সারা জীবন ছেয়ে আছে। কিন্তু তুমি যখন আসো আমার সে গ্লানি অতর্কিতে চলে যায়, ধরার মুখে আবার হাসি ফুটে ওঠে, লতায় পাতায় সবুজের হিল্লোল, আমার মনের কানায় কানায় সবুজ, সবুজ, কেবল সবুজ, আর তারই মাঝে বসে আছো তুমি, তুমি সবুজসুন্দরী।
বাসন্তিকা। এই রং, এই গন্ধ, এই গান, যখন তোমার এত পছন্দ, তখন কেন তুমি তোমার ছয় রাণীকেই এই একই রংয়ে, গন্ধে, গানে, সাজিয়ে নাও না?
রাজা। দুঃখ যে আমার সে ক্ষমতা নেই বাসন্তিকা। দেবরাজ সৃষ্টির পূর্ব্বে আমায় বর দিয়েছিলেন যে আমার ছয় রাণীকে যে মূর্ত্তিতে সাজাবো, পৃথিবীর বুকে তা’রই ছাপ পর্য্যায়ক্রমে যা’বে আসবে। আমি আমার ছয় রাণীকে ছয়টি বিভিন্ন রূপে সাজিয়েছিলাম, তাই ধরার বুকে ছয়টি ঋতু বিরাজ কোরছে।
বাসন্তিকা। আবার নূতনভাবে সাজিয়ে নেবার বর কি দেবরাজ তোমায় দেন নি?
রাজা। না, প্রলয়ের পূর্ব্বে, ধরার নববিকাশের পূর্ব্বে, সে ক্ষমতা আমি ফিরে পাবো না। এক একবার ভাবি, প্রলয়ের পর, ধ্বংসের বুকে, আমার ছয় রাণীকে তোমারই সাজে সাজাবো—তোমার রূপ যা’তে শাশ্বত হোয়ে ওঠে আমার চোখে। আবার মনে হয়, না, না, না,