*S219' বিক্রমোর্কশী আচ্ছা এখন আমাকে মণি-প্রাসাদের ছাদে নিয়ে চল । বিদু —এই দিক দিয়ে মহারাজ, এই দিক দিয়ে। এই গঙ্গা-তরঙ্গের স্তায় সুন্দর স্ফটিক-মণি-সোপানে আরোহণ করুন। এই প্রদোষসময়ে মণি প্রাসাদটি বড়ই রমণীয়। রাজা।--তুমি আগে ওঠে । ( সকলের আরোহণ ) বিদু।– দেখিয়া ) এইবার বোধ হয় চাঁদ উঠবে। অন্ধকার চলে গেছে—পূৰ্ব্বদিকে সুন্দর আলো দেখা যাচ্চে । রাজা –তুমি ঠিক বলেছ। শশাঙ্ক, উদয়াচলে গুঢ় অবস্থিত, তাহার কিরণ জালে তম অপস্থত । পূৰ্ব্বদিক, মুখ হতে আলকের গুচ্ছ যেন নিল সরাইয়া আহা কি সুন্দর শোভা ! নয়ন-যুগল মোর লইল হরিয়া ॥ বিদু।–হি হি হি! ওগো ঐ যে, খাড়ের লাড়টির মত দ্বিজরাজ উদয় হয়েছেন । রাজা –(সম্মিত ) কি আশ্চৰ্য্য ! পেটুকেরা আহারের সামগ্রীই সৰ্ব্বত্র দেখতে পায় । ( কৃতাঞ্জলি হইয়া প্ৰণিপাত পুরঃসর ) ভগবান নিশানাথ ! সাধুদের ক্রিয়া তরে রবির দেহেতে তুমি করগো প্রবেশ । দেবগণ পিতৃগণ তাহাদের তৃপ্তিদান, করহ বিশেষ ।
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৪৫
অবয়ব