পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (রামসদয় ভট্টাচার্য্য).pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'93 বিক্রমের্বশী। যুগল উন্মীলন করিয়া ঈষৎ হামু করিতে আরম্ভ করে, যখন জামু ও বাস্থলতিকার উপর নির্ভর করিয়া অপে অপে এক স্থান হইতে স্থানান্তর গমন করিতে ও দুৰ্ব্বল চরশ্নের সাহায্যে কোন বস্তু অবলম্বন করিয়া দণ্ডায়মান হইতে শিক্ষা করে এবং যখন পিতা মাত বা দাস দাসীর অঙ্গুলি ধারণ করিয়ু বিচরণ করতে অভ্যাস করে, ও পদে পদে স্থলিস্বৰ্গতি হয়, এবং যখন অৰ্দ্ধোচ্চারিত বচনে কিছু কিছু কহিতে আরম্ভ করে ও ক্রমে ক্রমে অব্যাহত বাক্যে মুম্পষ্ট শব্দ উচ্চারণ করতে শিখে, এবং শিক্ষকের সন্ধুপদেশ সকল গ্রহণ ও ধারণ করিয়া সুমধুর ভাষায় পিতা মাতার নিকট পরিচয় প্রদান করে, সেই সেই অবস্থায় পিত মাতার যে অভূতপূৰ্ব্ব ও অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দোদয় হইয়া থাকে, আমি বন্ধ্যার নায় তৎস্থ থাস্বাদনে বঞ্চিত হুইয়াছি । ষােহ উক, ইহাকে যে অব্যাহত ও বৰ্দ্ধিত দেখিতে পাইলাম, ইহাতেই আমার সমুদায় ফুঃখের অবসান-হুইল । এই রূপ মনে মনে কহিতে কহিতে মাগমন করিলেন । নরপতি উৰ্ব্বলীকে সমাগত দেখিয় দীর্ঘায়ুকে কহিলেন, বৎস! ইনি তোমার জননী অসিতেছেন । তাপসী কছিলেন, কুমার! ইনি তোমার গর্ভধারিণী, ইহাকে প্রণাম কর। কুমার বিনীতভাবে মাতাকে প্রণাম করল। উৰ্ব্বশী সবাঙ্গনয়নে সস্তানের শিরোভ্রাণ ও মুখ চুলি করিয়া তাপসীর চরণে প্রণত হইলে, তিনি স্বামীর অবিচলিত প্রণয়ভাজন হও, বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ প্রয়োগ করিলেন। অনস্তুর উৰ্ব্বশী মহারাজ বিজয়ী হউন বলিয়া