৩৭ অবলাজননিন্দিত পথে পদার্পণু করিয়াছি, তিনিই অ’ বার আমাকে অনুরাগগুল ভাৰিয়া কত প্রকার ভংসন করিতেছেন। ইছা শুনিয়া শীঘ্ৰ, সন্মুখীৰ, হইয় আত্মপরিচয় দিতে আমার অত্যন্থ বাসন হইতেছে কিন্তু রাজ্জ সে বিষয়ে প্রবল প্রতিবন্ধক ; শঙ্কএর প্রথমে এক পত্রিক দ্বার। ইহঁর ভ্রম ভঞ্জন করি । চিত্ৰলেখা কছিলেন ইহtযুক্তিবিরুদ্ধ নহে : অনন্তর উর্বশী এক মনোমত পত্রিক রচনা করিয়া রাজসম্মুখে নিক্ষেপ করিলেস মামৰক সেই ভুঞ্জপত্র দেখিয়া সৰ্প শিমোক ভ্ৰমে শঙ্কিতচিত্তে কহিলেন সৰ্থে । দেখ কোথা হইতে এই ভুজঙ্কনির্শেক উপস্থিত হইল । নরপতি নিরীক্ষণ করিয়া কছিলেন বয়স্য । ইহা ভূজঙ্গfনমোক নহে, অক্ষরাঙ্কিত ভু জপত্র বোধ হইতেছে। তথম মানৰক কহিলেন সখে ! বোধ হয়, মহামু ভাব উৰ্ব্বশী তোমার বিলাপ ও পরিতাপ শ্রবণ করিয়া, অসামান্য অ ত্রিম অনুরাগের চিকুস্বৰূপ এই পত্রিক প্রেরণ করিয়া থাকিবেন। নরপতি কহিলেন বয়স্য : দৈবের অসাধ্য কি দুষ্ট নাই । এই কথা বলিয়। তাহা গ্ৰহণ করিলেন এবং পাঠ করিয়া মহল্লাদিত হইয়া কছিলেন সখে ! তুমি যথার্থ অমৃতৰ করিয়াছ, ইহা প্রেয়সীর প্রণয় পত্রিকাই বটে। মানবক কৌতুকাকুলিতহাদয়ে কছিলেন সৰ্থে । ইহাতে কি লিখিয়াছেন শুনিতে অত্যন্ত বাঞ্ছা হইতেছে। নরপতি পাঠ করিতে আরম্ভ করিলেন “ স্বামন । আমি আপনার মনোবেদন জানিতেছি না, ই । আপনি মসে করিতে
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (রামসদয় ভট্টাচার্য্য).pdf/৪২
অবয়ব