পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচার-চন্দ্ৰোদয় ( কৰ্ম্ম করিয়া অন্তে-সর্বকৰ্ম্ম সন্ন্যাস করিয়া সেই পরামব্যোমে, সেই পরমপদে স্থিতিলাভ করিতে পরিবে । সাৰ্বজনীন ধৰ্ম্মের যিনি সাধক তঁাহাকে সংক্ষেপতঃ নিম্নলিখিত কৰ্ম্মগুলি করিতে হইবে । ( ১ ) অসৎ যাহা কিছু তাহাতে বৈরাগ্য অভ্যাস জন্য জগতের হাহাকার ভাবনা ; নিজের মৃত্যু চিন্তা । ( ২) সৎ যাহা তাহাতে অনুরাগ জন্য আত্মার রূপ, গুণ, কৰ্ম্ম ও স্বরূপ চিন্তা । (৩) স্বরূপের চিন্তায় আত্মাই যে নিগুণ, সৎগুণ ও অবতার ইহার পূৰ্ণ ধারণা। ( $ ) প্ৰতিদিনের সাধনায় ( ১ ) আমি তোমার ( - ) তুমি আমার (৩) তুমিই আমি বেশ করিয়া বুঝিয়া যিনি যে ভূমিকায় আছেন, ব্যবহারিক কৰ্ম্ম জগতে তাহার অভ্যাস । সাৰ্ব্বজনীন ধৰ্ম্মের, সাৰ্ব্বজনীন সাধনার চতুর্থ অঙ্গের কথা এক্ষণে কথঞ্চিৎ আলোচনা করা হইতেছে । প্ৰথমেই স্মরণ রাখা আবশ্যক যাহাদের চিত্ত দুর্বল তঁহাদের চিত্তকে সবল করিতে হইবে । বাহুবলের ভিত্তি হইতেছে মনের বল। যিনি সাত্ত্বিক। তঁহারই মানের বল সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক । সত্ত্বগুণটি হইতেছে তাহা যাহা রজোগুণ ও তমোগুণকে পরাস্ত করিয়া উদয় হয় । সকলেই বুঝিতে পারেন, নিনি রাজস্তমকে বা লয় বিক্ষেপকে নিরস্ত করিতে পারেন, তঁাহার অসাধ্য কৰ্ম্ম কিছুই নাই। সমস্ত জাতি যখন রজস্তমকে অধঃকৃত করিবার জন্য তপস্যা করেন, প্ৰতি ব্যক্তি যখন সাধনা দ্বারা নিজের ভিতরের লয় বিক্ষেপ কাটাইতে সক্ষম হয়েন, তখন সেই জাতি সকলের পূজনীয় হয়েন।