পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

frtist-boats 8 NSD মূঢ় অবস্থা আনয়ন করে । এই অবস্থা অবিবেক পূর্ণ বলিয়া বলা হইল প্ৰজ্ঞানঘন । যেমন রাত্রিকালে নৈশতম দ্বারা সমস্ত আচ্ছন্ন হয় বলিয়া বস্তু সকলের পৃথক পৃথক ভাগ লক্ষিত হয় না, বস্তু সকলের জাতি গুণ ক্রিয়া পৃথক পৃথক ভাবে লক্ষিত হয় না-অন্ধকার, বস্তু সকলকে ঘন করিয়া এক করে, সেইরূপ এখানেও এক অবিবেক দ্বারা সকল জ্ঞান আচ্ছন্ন হয় বলিয়া ইনি প্ৰজ্ঞানঘন । ইনি আনন্দময়-আনন্দস্বরূপ নহেন । মনসে বিষয়-বিষযাকার সম্পন্দনায়াসদুঃখাভাবা ২ আনন্দময়ঃ আনন্দ প্ৰায়ঃ । নানন্দ এব। অনাত্যন্তিক ত্বাৎ } মনই বিষয় আকারে ও বিষয়ী আকারে সম্পান্দিত হয়। এই সম্পন্দনে ও আয়াস থাকে বলিয়া দুঃখও থাকে। সুষুপ্তিতে কোন স্পন্দন নাই— কোন আয়াস নাই –বিষয় অনুভবের কোন ক্লেশ কোন চেষ্টা নাই বলিয়া সমস্ত দুঃখের অভাব এখানে । এই জন্য এই অবস্থায় পুরুষ আনন্দময়। নিরায়াস বলিয়া অন্তঃখী মত। অন্যরূপে বলা হউক । মনের কোনরূপ স্কুরণ যেখানে আছে সেখানে শ্রম আছেই। যেখানে শ্রম সেখানে দুঃখ । সুষুপ্তিতে কোন স্ফুরণ নাই।-কোন শ্রম নাই—কোন দুঃখ ও নাই। এখানে দুঃখের সকল প্ৰকার অভাব বলিয়াই পুরুষ আনন্দময়। এই অবস্থায় প্রচুর আনন্দ থাকে সত্য – কিন্তু এই আনন্দ স্থায়ী হয় না। দুঃখ না থাকায় যে আনন্দ তাহা অবিনাশী আনন্দ নহে। ইহা নাশবান বলিয়া এই আনন্দ স্বরূপানন্দ নিচে । ইহা আনন্দ প্ৰায় । ইনি আনন্দৰ্ভুক্—আনন্দের ভোক্ত। নিরায়াস হইয়া থাকিলেযাওয়া আসার পরিশ্রম শূন্য হইয়া স্থির শান্তভাবে অবস্থান করিলে লোকে ৰেমন সুখভোগ করে সেইরূপ এই চৈতন্যপুরুষ এই কালে সম্পূর্ণ শ্রম রহিত স্থিতিকে আপনাতে অনুভব করেন বলিয়া ইনি আনন্দভুক। শ্রীতিও বলেন হলীৰান্ত আৰম আননক: । ইহাই ইহার পরম আনন্দ ।