পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৩৪ ] করে, তাহদের নিকট হইতে নিজেকে রক্ষা করিয়া হরিণ থাকিবার অস্থানে আসিয়া পড়েন, সেখানে হরিণের শৃঙ্গে তাহার মৃত্যু হয়। লালবাঈকে রাণী বন্দী করিয়া নিকটস্থ এক পুষ্করিণীতে ডুবাইয়া দেন। সেই হইতে সেই পুষ্করিণী লালবাধ নামে অভিহিত হয়। রাণী মৃত স্বামীর চিন্তারোহণ করিয়া সহমরণ করেন। রঘুনাথের পুত্ৰ গোপালসিংহ রাজত্ব লাভ করেন। ইনি অতিশয় ধৰ্ম্মপরায়ণ রাজা ছিলেন। ইনিও বিষ্ণুপুরে কয়েকটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তাহার সকল প্ৰজাকে তিনি মালা জপ করিতে বাধ্য করান। এই প্ৰথাকে বিদ্রুপ করিয়া লোকে বলিত “গোপালসিংহের ব্যাগার।” আজও পৰ্য্যন্ত বিষ্ণুপুরে এই কথা শুনিতে পাওয়া যায়। গোপালসিংহের রাজত্বকালে মরাঠাগণ বিষ্ণুপুর আক্রমনের চেষ্টা করে। এই আক্রমণ হইতে বিষ্ণুপুর রক্ষা করিতে যাইয়া তাহার সৈন্যগণ পরাজিত হইতেছে দেখিয়া বিষ্ণুপুরের সমস্ত প্ৰজাবৃন্দ লইয়া তিনি মদনমোহন ঠাকুরের পূজার আয়োজন করেন। মরাঠাদিগকে পরাজিত হইয়া ফিরিয়া যাইতে হইয়াছিল। কথিত আছে প্ৰজাগণ যখন পুজায় ব্যস্ত ছিল তখন দেবতাগণ দুর্গ হইতে কামান ছাড়িয়াছিলেন। “দলমৰ্দন” নামে এক বৃহৎ কামান এখনও বিষ্ণুপুরে দেখিতে পাওয়া যায়। কিম্বদন্তী আছে স্বয়ং মদনমোহন নাকি এই কামান ছুড়িয়াছিলেন। মারাঠাগণ বিষ্ণুপুর আক্রমণে অকৃতকাৰ্য্য হইবার পর মল্লভূমের অন্যান্য স্থানে অত্যন্ত অত্যাচার আরম্ভ করে। বাংলা পুথির কৃষ্ণলীলা বিষয়ক প্রচ্ছদপট-সপ্তদশ শতাব্দী বিবিধ সংগ্ৰহ भङ्गछ्रि SSN) লুণ্ঠন, দমাবৃত্তি, ধানের মরাই ও শাস্তক্ষেত্রে অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি নানাপ্রকার নিষ্ঠুর আচরণে মল্লভূমবাসিগণকে ভাষণ কষ্ট দেয়। একসময়ে এমন অবস্থা হইয়াছিল যে প্ৰজাগণ কোনও প্রকার খাদ্য না পাইয়া কদলীপত্র ভক্ষণ করিয়া ক্ষুধা নিবৃত্তি করিত ! ইহাও নাকি ক্রমশঃ দুপ্ৰাপ্য হইয়া উঠে। আনন্যেপায় হইয়া রাজমহল হইতে মেদিনীপুর ও বালেশ্বর পর্য্যন্ত তখন মরাঠাগণের অধীনে আসিতে বাধ্য इम्न । নন্দলালজীর মন্দির হইতে এই সময়ের (১৭২০ খ্ৰীঃ অঃ) স্থাপত্যের পরিচয় পাওয়া যায়। ইহার দরজা ও বিষ্ণুপুরের মন্দিরের দরজার কারুকাৰ্য্য তুলনা করিলে মোগল ও পুরাতন হিন্দু স্থাপত্যের মধ্যে কতটা প্ৰভেদ ছিল তাহা বেশ স্পষ্টভাবে বুঝিতে পারা যায়। এই সময় হইতে মোগল প্ৰভাব হইতে হিন্দু-কলা মুক্তিলাভ করিতে আরম্ভ করে। নন্দলালজীর মন্দিরে মোগল প্ৰভাব একেবারে অবশ্য অস্বীকার করা চলেনা কিন্তু ইহাও বেশ প্ৰতীয়মান হয় যে মোগল थथ अांब्र डांद्र थडांव विलांब्र कब्रिग्रा नाई, श्न्यूि थथांद्र সহিত কেমন লিপ্ত হইয়া গিয়াছে। ঠিক এই সময়ে পঞ্জাবে কাংড়া উপত্যকাতেও মোগল ও হিন্দুপ্রথার মিলনের এক আন্দোলন চলিতেছিল । চৈতন্যসিংহ মল্লবংশের শেষ রাজা । ১৭৪৮ হইতে ১৭৬০ খৃঃ অঃ পৰ্য্যন্ত ইনি রাজত্ব করেন। চৈতন্যসিংহ অতিশয় ধৰ্ম্মপরায়ণ রাজা ছিলেন। র্তাহার রাজত্বকালে মন্দির, বিদ্যালয় ইত্যাদির জন্য তিনি মুক্তহস্তে দান করিতেন। তঁাহার। দয়ায় তখন অনেক ব্ৰাহ্মণ নিষ্কার ভূমিতে বাস করিত। কোনও ; ব্ৰাহ্মণকে কর দিতে দেখিলে লোকে সন্দেহ কারিত বাস্তবিক সে ব্ৰাহ্মণ কি না । এক বিশ্বাস্ত মন্ত্রীর হস্তে রাজকাৰ্য্য नषा कब्रिश गश्ख्का डिनि क्षा ? সাধনায় অতিবাহিত করিতেন। | মারাঠাদের আক্রমণ সমানভাবে চলিতেছিল। ইহার উপর আর এক বিপদ আসিয়া উপস্থিত। চৈতন্যসিংহের