পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و88 <ණඹුණේ বিশ্বের প্রকাশ যজ্ঞে বারস্কার করিতেছ। দান কেৰ । নিপুণ সুন্দর তব কমণ্ডলু হতে অফুরান ..س-- পুণ্যগন্ধী প্ৰাণধারা ; সে ধারা চলেছে ধীরে ধীরে । দিগন্তে শ্যামল উৰ্ম্মি উচ্ছাসিয়া, দূর শতাব্দীরে শুনাতে মৰ্ম্মর আশীৰ্বাণী । রাজার সাম্রাজ্য কতশত কালের বন্যায় ভাসে, ফেটে যায় বুদ্ধদের মতো, মানুষের ইতিবৃত্ত সুদুৰ্গম গৌরবের পথে কিছুদূর ধায়, আর বারম্বার ভগ্নচুৰ্ণ রথে কীর্ণ করে ধূলি। তারি মাঝে উদার তোমার স্থিতি, ওগো মহা শাল, তুমি সুবিশাল কালের অতিথি । আকাশেরে দাও সঙ্গ বৰ্ণরঙ্গে শাখার ভঙ্গীতে, বাতাসেরে দাও মৈত্রী পল্লবের মৰ্ম্মর সঙ্গীতে, মঞ্জরীর গন্ধের গণ্ডষে। যুগে যুগে কত কাল পথিক এসেছে তব ছায়াতলে, বসেছে রাখাল, শাখায় বেঁধেছে নীড় পাখী ; যায়। তারা পথ বাহি’। আসন্ন বিস্মৃতি পানে, উদাসীন তুমি আছে চাহি’। নিতোর মালার সূত্রে অনিত্যের যত অক্ষগুটি অস্তিত্বের আবৰ্ত্তনে দ্রুতবেগে চলে তা’র ছুটি ; মৰ্ত্ত্যপ্ৰাণ তাহদের ক্ষণেক পরশ করে যেই পায় তা’র জাপ-নাম, তার পরে আর তা’র নেই, নেমে যায় অসংখ্যার তলে । সেই চ’লে-যাওয়া দল রেখে দিয়ে গেছে যেন ক্ষণিকের কলকোলাহল দক্ষিণ হাওয়ায় কঁপা ওই তব পাত্রের কল্লোলে, শাখার দোলায়। ওই ধ্বনি স্মরণে জাগায়ে তোলে কিশোর বন্ধুরে মোর। কতদিন এই পাতা ঝরা বীথিাকায়, পুষ্পগন্ধে বসন্তের আগমনী-ভরা সায়াহ্নে দুজনে মোরা ছায়াতে অঙ্কিত চন্দ্রালোকে [ ਤ