পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR8 লোক : একসঙ্গে শুনিতে পাইবে, তাহা হইলে পরিবর্ধক Ni (valve set) offers »g gqs setts ২০০১৩০০২ টাকাও লাগিতে পারে। অপর পৃষ্ঠায় বিজ্ঞান-কলেজের প্রেরক-যন্ত্রের একটা চিত্র দেওয়া হইয়াছে। চিত্রে যে কাচের গোলক ርሻጓዝ ফাইতেছে ঐগুলি (iff's valve ssf DD DD GLOLDDSDLL DDBB YYS KYYY KYYS যন্ত্রে পরিবদ্ধকরূপে যে গুলি ব্যবহার হয় সেগুলি আর ও ਯੁਲ | এইখানে একটা কথা মনে হইতে পারে। আমাদের কাছে যদি পরিবদ্ধক যন্ত্র পাকে তুবে যতদূরেই যাই না কেন, আমরা বেতার টেলিফোনি শুনিতে পাইব । ংবাদ যদি দূরত্বের জন্য কোটি গুণ ক্ষীণ হইয়া যায় তবে কোটা গুণ পরিবদ্ধক লাগাইলেই হইবে সাধারণ ভাবে এইরূপ মনে হয় বটে, কিন্তু কাজের সময় এইরূপ হয় না । আমাদের চারিদিকে অনবরত নৈসৰ্গিক কারণে বৈদ্যুতিক উৎপাত হইতেছে। আকাশে কোথাও হয়ত বিদ্যুৎ-সঞ্চারিত একখণ্ড মেধি রহিয়াছে; অথবা হয়ত দূরে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে” বজ্ৰপাত হইতেছে ; এই সব কারণে ইথর কখনও স্থির নিশ্চল থাকে না, তাহাতে অনবরত আন্দোলন ও আলোড়ন বা তরঙ্গবিক্ষেপ হইতেছে । ধরুন। এখন আমাদের গ্ৰাহক-যন্ত্র আমরা বেতার শুনিবার জন্য লাগাইয়াছি। প্রেরক বহু দূরে আছে বলিয়া আমাদের যন্ত্রের পরিবদ্ধন-শক্তি খুব বেশী করিয়াছি। ক্ষীণ বেতার সংবাদ ধরিয়া যন্ত্র তাহাকে কোটি গুণ পরিবদ্ধিত করিতেছে বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে ইথারে অন্য বৈদ্যুতিক উৎপাতের জন্য যে আন্দোলন আলোড়ন হইতেছে তাহাকে ধরিয়া পরিবদ্ধিত করিতেছে। ফলে বেতার সংবাদ যদি বৈদ্যুতিক উৎপাত অপেক্ষা ক্ষীণ হয় তবে উৎপাতজনিত গোলমালের জন্য সংবাদ কিছুই পাওয়া बादेव न। ब्रिंक cगशन किकू प्रून नकौड হইতেছে, আমি সঙ্গীত শুনিবার জন্য চেষ্টা করিতেছি, কিন্তু বাহিরে রাস্তায় এত বেশী গোলমাল হইতেছে যে, কানে চোঙা লাগাইয়াও ভাল শুনিতে পাইতেছি না-কারণ 16> [ আষাঢ় চোঙা দিয়া সঙ্গীত যেমন জোরালো হয় গোলমালও সেইরূপ বৃদ্ধি পায়। এই যে নৈসৰ্গিক উৎপাত, ইংরাজিতে ইহার সাধারণ নাম Atmospherics । আজকাল द्देशझे पू হইতে कौ1 বেতার টেলিফোনি শুনিবার প্রধান অন্তরায় । ফলে বেশী দূরে সংবাদ পাঠাইতে হইলে শুধু গ্ৰাহকযন্ত্রকে বেশী পরিবদ্ধিত করিয়া কোনও লাভ নাই, প্রেরক-যন্ত্রকেও খুব শক্তিশালী করিতে হয়। আমাদের দেশে এই প্রকার নৈসৰ্গিক উৎপাত সাধারণত চৈত্রমাস হইতে আরম্ভ করিয়া বর্ষার শেষ পৰ্য্যন্ত বেশী থাকে। শীতকালে অপেক্ষাকৃত কম। এই উৎপাত কোন দিক হইতে বেশী আসে, সকাল-সন্ধ্যায় অথবা রাত্রে কখন বাড়ে কখন কমে, বৎসরের কোন সময়ে ঠিক কতটুকু ইহার হ্রাসবৃদ্ধি হয়, এই সব খবর জানা অত্যন্ত দরকার। বিজ্ঞানকলেজে ইহার সম্বন্ধে গবেষণা করার জন্য একটী যন্ত্র তৈয়ার হইয়াছে। পৃথিবীর কুজ-পৃষ্ঠের উপর দিয়া বেতার ঢেউ এক জায়গা হইতে অপর জায়গায় কি উপায়ে যায়। সেই সম্বন্ধে কিছু বলিয়া প্ৰবন্ধ শেষ করিব। পৃথিবীর পৃষ্ঠে আমেরিকা ভারতবর্ষের ঠিক উল্টা দিকে অবস্থিত। কিন্তু দেখা যায় যে আমেরিকা হইতে শক্তিশালী প্রেরক যন্ত্রের ঢেউ, ভারতবর্ষে পৌঁছায়। ভারতবর্ষের গ্রাহক-যন্ত্র আমেরিকা হইতে বেতার সংবাদ সংগ্ৰহ করিতে পারে। প্রশ্ন উঠে বেতার ঢেউ পৃথিবীর এতটা কুজ-পৃষ্ঠ ( প্ৰায় ১৮০ ডিগ্রী) কিরূপে ঘুরিয়া আসে। আমরা গোড়ায় বলিয়াছি যে ইথারে বেতারের লম্বা লম্বা ঢেউ সম্মুখে বাধা পাইলে বাধাকে ঘুরিয়া বেষ্টন করিয়া যাইতে পারে। সুতরাং সহজেই মনে হইতে পারে যে বেতারের ঢেউ এই কারণে পৃথিবীকে বেষ্টন করিয়া আমেরিকা হইতে ভারতবর্ষে পৌঁছায়। কিন্তু হিসাব করিয়া দেখা যায় যে, বেতার ঢেউ যদিও পৃথিবী-পৃষ্ঠের উপর বাড়ীঘর পাহাড়-পর্বত বেষ্টন করিয়া যাইতে পারে ( একটা পাহাড় কতই বা উচু হইবে ? খুব বেশী হয় ত- ৩৪ মাইল)। কিন্তু পৃথিবীর পৃষ্ঠ দিয়া