পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S60 করা যেতে পারে। বাঙলা ‘পটের’ তুলি-রেখার টানে अवगैौगांब्र ख्ौव्र नदृक् गप्करे धन थक्षें झुलांव्र डांब আছে যা চীনদেশের লেখ-শিল্পকে মনে করিয়ে দেয়। এই ধরণের পটগুলির মধ্যে একখানিতে (যুগল রূপ) অতি পরিষ্কার ঝরঝরে রেখা, কুঁদে-গড়া মুখের ভাব, শরীরের গড়ন ও কাপড় পরার চমৎকার ভঙ্গী, চিত্রিত মূৰ্ত্তিগুলির পরিপূর্ণ সুসঙ্গতি ও স্বচ্ছন্দতা-সমস্ত মিলে মিশে ছবিখানিকে যেন অনন্ত যৌবন ও অনন্ত প্রেমের মিলনের একটি রূপ-কাব্য ক’রে তুলেছে।" এই চিত্রটি তুলির এমন একটা লম্বা ও দমকা টানে একে ফেলা হয়েছে যে, এতে হাতের এতটুকু দ্বিধা বা এতটুকু কঁপুনির চিহ্নমাত্র নেই। প্রায়ই দেখতে পাই গোটা মূৰ্ত্তিটাকে এমন ক’রে একটি একটানা রেখার বন্ধনে গড়ে তোলা হয়েছে যে, বলাই শক্ত কোথায় শিল্পীর তুলি কাজ সুরু ক’রেছিল আর কোথায় তার কাজ শেষ হয়েছে। এই সব শিল্পী অশিক্ষিত গ্ৰাম্য লোক ছিল, একথা সত্য। তার হাজার ভুল করেছে, কিন্তু তারা বর্তমানের শিল্পীদের ধরণে ছবি আঁকৃত না, ছোট ছোট রেখা একে একে একটু একটু ক’রে তারা ছবিকে পূর্ণ করে তুলত না। পরিপুর্ণ স্বচ্ছন্দতার সঙ্গে তারা অতি সাদাসিধে রেখা টেনে যেত, তাতে রূপের বৈশিষ্ট্য বেশ ফুটে উঠত। অনেক সময়ে পেন্সিল দিয়ে আগে রেখা টেনে আব্দুরা তৈরি করা হ’ত, কিন্তু ছবি শেষ করার সময় তুলি দিয়ে তাড়াতাড়ি আঁকবার বোকে শিল্পীরা সেই পেন্সিলের রেখার ওপর দিয়ে প্রায়ই যেত না। প্ৰাচীন পটের রেখাঙ্কন এত চমৎকার যে, মনেই হয় না। সে জিনিষ আরও ভাল হ’তে পারে। এই রেখাগুলি অতি দৃঢ়তার সঙ্গে আঁকা হ’লেও এদের টানের মধ্যে নমনীয়তার কোনো অভাব নেই। এই সব “পাট’ কোন জীবন্ত মানুষকে আদর্শ মনে ক’রে সামনে বসিয়ে রেখে আঁকা হ’ত না ; দৈনন্দিন জীবন থেকেই যা কিছু মাল-মশলা সংগ্ৰহ করে স্মৃতির সাহায্যে সেগুলিকে মিলিয়ে মিশিয়ে পটুয়ারা নব-নব রূপ সৃষ্টি কবুত। মোটামুটি বলতে গেলে এই রেখাচিত্রগুলিতে মানবদেহের <6>

  • পটুয়া বলরাম দাস বৃত্ত বয়সে এই “পাটরচনা করেছিল। গৃহত্যাগ করে মীয়ায় এসে সে সাধুর মত জীবন যাপন করত।

[ थांबणी নানাপ্রকার ভঙ্গী প্ৰকাশ করুবার বেশ একটা প্ৰয়াস দেখতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে কোনও কোনও ছবিতে খুটিনাটির এমন চমৎকার সমাবেশ আছে যে, দেখলেই মনে হয়। কেবলমাত্র কল্পনার উপর নির্ভর ক’রে এমনভাবে আঁকা চলে না ; এই সব ছোটে-খাটো ব্যাপার। ভুলে BB DLDDDDS SDB BBBS S BDuDDD S BDDSDBDB DBB একথা সত্যই সত্যই না জানতুম যে, পটুয়ারা কখনও জীবন্ত মানুষকে সামনে রেখে ছবি আঁকে নি, তা হলে তাদের “পট” দেখে এমন কথা স্বীকার করা আমাদের পক্ষে শক্ত হত। তার পর, “য়ুমন্ত-শ্ৰী”র মতো একখানা, রেখা-চিত্রে রূপ ও ভঙ্গি ফুটিয়ে তোলার আশ্চৰ্য্য দক্ষতার সঙ্গে নিখুঁত শিল্পকৌশলের এমনি সুন্দর যোগ রয়েছে যে, বিস্ময়পুলকে এই প্ৰশ্নই আমাদের মনের মধ্যে জেগে ওঠে যে, সত্য সত্যই এটা কোন গ্ৰাম্য শিল্পীর হাতের জিনিষ। কিনা। “দুমন্ত-শ্ৰী” ছবিখানা uDBD sDD D DuZS Bt BKDD BDDB BBBB মধ্যে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। এটা নিশ্চয়ই কোন প্ৰতিভাবান পটুয়ার কাজ। খুব অদ্ভুত মনে হলেও এ-কথা স্বীকার করতেই হবে যে, আধুনিক শিল্পের কোন কোন অতি-আধুনিক পদ্ধতি ভারতীয় শিল্পীরা আগে থেকেই নিজেদের মনে আঁচতে পেরেছিল। শ্ৰীযুক্ত অজিত ঘোষের সংগ্রহে পটুয়াদের আঁকা এমন কতকগুলি আশ্চৰ্য্য রকমের ছবি আছে যা থেকে বেশ বুঝতে পারা যায় আধুনিক fito Cubism ( Impressionism vertis qi বছর বা তারও আগে আমাদের দেশে ঐ ধরণের ছবি আঁকা হয়েছে। প্ৰাচীন বাঙলার ঐ ধরণের একখানা চমৎকার রঙ করা ছবি, যা এ-দেশ থেকে কাংড়া অঞ্চলে চলে গিয়েছিল, এখন শ্ৰীযুক্ত অজিত ঘোষের সংগ্ৰহে স্থান পেয়েছে। বিগত শতাব্দীর প্রথমাৰ্দ্ধভাগে পটুয়াদের কাজ উন্নতির চরম সীমায় পৌছেছিল। সে সময়ে বাঙলাদেশের সর্বত্রই এদের দেখতে পাওয়া বেত । পুর্ব-বঙ্গের ঢাকা, নোয়াখালী এবং ময়মনসিংহ, উত্তর-বঙ্গের মালদহ, রাজসাহী এবং পাবনা, এবং পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, বীরভূম, বৰ্তমান, নদীয়া,