পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵՀ ইউরোপের লোকেরা এই ভরসায় নিশ্চিন্ত ছিলেন যে, এসিয়াতে কৰ্ম্ম নেই ; আর আমরা এই ভেবে নিশ্চিন্ত ছিলুম যে, ইউরোপে ধৰ্ম্ম নেই। দু’। পক্ষই এই ভেবে মনস্থির করেছিলেন যে, কৰ্ম্মরাজ্যে এসিয়া ইউরোপের ঘাড়ে চড়তে পারবে না-আর ধৰ্ম্মরাজ্যে ইউরোপও এসিয়ার ঘাড়ে চড়তে পারবে না। একটা স্পষ্ট ও সহজবোধ্য মত পেলেই মানুযে মনের আরামে থাকে। আর ইউরোপের লোক যে সব পুরুষ, ও এসিয়ার লোক যে সব মেয়ে, এর চাইতে সহজ ভাগ আর কি হ’তে hicն ফলে এসিয়ার কাছ থেকে ইউরোপের কোনও ভয় ছিল না। গাঙ্গ যুদ্ধের প্রবল ধাক্কায় বিধব্যস্ত হয়ে ইউরোপের মনে নানারকম ভয়ভাবনা জন্মেছে ৷ নিজেদের সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ব সম্বন্ধে ইউরোপের লোকের মনে যে অগাধ বিশ্বাস ছিল, সে বিশ্বাসের গোড়া আলগা হয়ে গিয়েছে। ফলে তারা নানাদিকে নানারূপ বিভীষিকা৷ দেখছে। ইউরোপের, বিশেষতঃ ফরাসীদেশের বর্তমান সাহিত্যের সঙ্গে যার পরিচয় আছে তিনিই জানেন যে, এসিয়া এখন সে দেশের সাহিত্যিক মনের অনেকটা অংশ অধিকার করেছে। যে-সকল ইউরোপীয়েরা এখন uDBLBBS SDDDBD SDDBDSDDB gBDD BK BB দিয়ে ইউরোপের ভবিষ্যৎ গণনা করতে পারেন না । ফলে নিজের নিজের প্রকৃতি ও বুদ্ধি অনুসারে কেউ বা এসিয়ার সভ্যতা ইউরোপীয় সভ্যতার পরিপন্থী মনে করেন, কেউ বা তাকে আবার তার সহায় মনে করেন। 8 এই উভয় শ্রেণীর লেখকদের মধ্যে মতের অনৈক্য কোথায় এবং কি কারণে, তা ফরাসীদেশের দুটি গণ্যমান্য সাহিত্যিকের লেখায় খুব স্পষ্টরূপে ব্যক্তি হয়েছে। আমি সংক্ষেপে উভয়ের বাদানুবাদের পরিচয় দিতে চেষ্টা করব। কারণ এদেশে ধারা পূর্ব-পশ্চিমের ভেদাভেদ নিয়ে মাথা বকান, পশ্চিমের লোকেরা সে বিষয়ে . কি ভাবছে, তা জানিবার জন্য আশা করি তাদের কৌতুহল আছে। <69> [ আষাঢ় H. Massis বৰ্ত্তমান ফ্রান্সের জনৈক ধনুৰ্দ্ধর লেখক । fsso estofocoso, Renan \s Anatole France-q21 মন্ত্রশিন্য। পরে তিনি আরিাষ্ট্রটেল এবং যীশু খৃষ্টের হস্তে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাই তিনি এখন তার পূর্ব শিক্ষাগুরু ও সতীর্থদের উপর নিৰ্ম্মমভাবে সমালোচনার DD BBY DBDBDBY SDDDS DBBBBS D DuT সাহিত্যিকদের বধ না করতে পারুক, কিছুকিঞ্চিৎ জপম যে করেছে, সে বিষয়ে ফ্রান্সের সাহিত্য-সমাজে দ্বিমত নেই। Massis প্ৰথমত অতি চটকদার লেখক, দ্বিতীয়ত অতি শক্তিমান লেখক । উপরন্তু খৃষ্টানধৰ্ম্ম ও খৃষ্টান দর্শনে তার বিশ্বাস অটল। এই বিশ্বাসের বলেই তিনি সম্পূর্ণ নিৰ্ভীক এবং মারাত্মক লেখক হয়ে উঠেছেন। তাই যারা তার মতাবলম্বী নন, তারাও স্বীকার করছেন যে, তার মতামতের ভিতর অনেক নিগুঢ় সত্য আছে। তবে সকলেই বলেন তার দোয এই যে, অবিশ্বাসী সাহিত্যিকদের প্রতি র্তার কোনরূপ মায়ামমতা নেই। দ্বিতীয় কুমারিলভট্টর মত তিনিও ফরাসী সাহিত্যরাজ্যে নাস্তিক নিগ্ৰহ করতে বদ্ধপরিকর হয়েছেন। ইনি সম্প্রতি “ইউরোপের আত্মরক্ষা” নামক একখানা বই লিখেছেন। উক্ত গ্রন্থের সমালোচনা করেছেন Edmond Jaloux নামক জনৈক খ্যাতনামা সাহিত্যিক । সাহিত্য সমালোচনা যে কা’কে বলে, Jaloux-র সমালোচনাকে তার আদর্শ বলা যায়। “উদার চরিতানাং তুবল্পধৈব কুটুম্বকৰ্ম” এ কথা যে সাহিত্যরাজ্যেও খাটে, তার জীবন্ত প্ৰমাণ হচ্ছেন। উক্ত সমালোচক। মাসি মহোদয়ের দৃঢ় বিশ্বাস যে, ইউরোপ ধ্বংসপথের बांबी श्छ। डाई डिनि ईडब्राहक जांचबक्रांत्र अच সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছেন । মাসির মতে আত্মরক্ষার অর্থ-আত্মার রক্ষা । তার বিশ্বাস পৃথিবীর প্রতি জাতেরই sgS D DBDBS S BD BBDS BDD স্বকীয় আত্মার সেই বিশিষ্টত রক্ষা করারই নাম আত্মরক্ষণ । কারণ কোনও জাতি যদি তার আত্মাকে সজীব ও সুন্থ রাখতে পারে, তাহলে সে জাত জীবনেও সুস্থ ও সফল হতে বাধ্য। ' ' -