পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাদাগাস্কার দ্বীপ 1'. ››ዓ গরুচুরি তেমনি একটা স্পোর্ট। ওতে কেউ দোষ ধরে ন—তবু ধরা পড়লে চোরকে জেলে যেতে ২য় বটে। সে তো ফুটবল খেলতে গিয়েও হরদম হাত পা ভাঙছে—সে জন্য ফুটবল খেলতে ভয় পায় কে ? স্থানীয় বাজার একটা দ্রষ্টব্য বস্তু । রোজ বাজার বসে না--সপ্তাহের মধ্যে একটা দিন এজন্য নিদিষ্ট আছে। বাজারের দিন। এখানে একটা উৎসবের দিন বলে, পরিগণিত। অনেকদূর থেকে লোকে মাথায় করে কিংবা গাধা ও অশ্বতরে বোঝাই দিয়ে মালপত্র, ডিম, ধান, চাল, জীবন্ত মুরগী, হাঁস, মাদুর ইত্যাদি আনে। বাজারের এক জায়গায় স্তুপীকৃত ইউরোপীয় পরিচ্ছদ বিক্ৰী হচ্ছে, বহু পুরানো ধরণের পোষাক, যা এখন ইউরোপে সবাই ভুলে গিয়েছে। একজন হাতুড়ে অনেক রকম দেশী গাছগাছড়া ও ওষুধ বিক্ৰী করতে এনেছে এবং তার স্বরে তার পণ্যরাজির দ্রব্যগুণ, ঘোষণা করে বিক্রেতা , যোগাড় করছে । তার পাশে একজন বিক্ৰী করছে কয়েক বুড়ি পঙ্গপাল, খালি বোতল ও খালি টন। M আমাদের দরকারী জিনিস Bu DBD YBSEDEBBDD DS DBD 对可河| 叶吻卤瓦可弧 阿弥忆可 আমাদের প্রায় ই বা জা রে আসতে হত। এখানকার হোটেলে थांकiद्ध वन्श् अडJत्ठ शiशto, খাবার জিনিস যা দেয় তা রান্নার দোষে বিস্বাদ, কাজেই আমরা বাজার থেকে প্রায়ই কলা, আনা রস, পেয়ারা, আম, কমললেবু এবং পোপে প্ৰভৃতি ফল কিনে নিয়ে যেতাম । আন্তানানারিভো থেকে পান্থপাদপ * তৃষ্ণাৰ্ত্ত পান্থের জন্য ইহা সৰ্ব্বদা শীতল জল সঞ্চিত রাখে। পাতাতে দিব্য খাওয়া দাওয়ার ট্রেনে আমরা দক্ষিণ দিকে রওনা কাজ চলে। श्लभ, cछ्छे cछोठे श्रांऊंौ, কৃষ্ঠারোগেজ লাইন, এঞ্জিনে কয়লার পরিবর্তে কাঠ জ্বলে, ঘণ্টা কয়েক গিয়েই রেলপপ শেষ হল, সেটা একটা ছোট সহর নাম অ্যাণ্টসিরেব-ফরাসী পদ্ধতিতে নিৰ্ম্মিত চওড়া চওড়া রাস্তা, ঘরবাড়ী, পার্ক-এই আধুনিক ধরণের সহর দেখে বিশ্বাস করা শক্ত যে আমরা মাদাগাস্কারেই আছি। অ্যাণ্টসিরোব এ অঞ্চলের মধ্যে স্বাস্থ্যকর স্থান। এখানে কয়েকটি উষ্ণজলের ফোয়ারা আছে- এদেশের ধনীলোকের মাঝে মাঝে বায়ুপরিবর্তনের জন্য এখানে আসে । অ্যাণ্টসিরেব থেকে আমাদের যেতে হবে মোটরে । প্ৰায় চারশে মাইল যাবার পরে লক্ষ্য করা গেল, আমরা এমন স্থানে এসে পড়েছি যেখানে গাছপালা খুব কম। অনাবৃত, রুক্ষদর্শন পাহাড় পৰ্ব্বত, বিস্তৃত সমতলভূমি-জল কোথাও নেই, নদী চোখেই পড়ে না। পান্থপাদপ পৰ্য্যন্ত দেখা যায় না। এ অঞ্চলের অধিবাসীরা অধিকতর অসভ্য। রাজধানীর কাছাকাছি স্থানের অধিবাসীরা ইউরোপীয় সভ্যতার সংস্পর্শে এসে বদলে গিয়েছে, কিন্তু এইসব দূরতর অঞ্চলের লোকে এখনও বর্শা হাতে নিয়ে বেড়ায়। কম্বলের মত মোটা একখানা কাপড়ই এদের একমাত্র পরিধেয়-ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কাপড়চোপড়ের বালাই নেই।