পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-সমুদ্রের দ্বীপ S89 কাল কিছুই স্থায়ী নয়, সপ্তদশ শতাব্দীর শেষে ফরাসীরা আসিয়া বোম্বোটেদের ধ্বংস করিল। পরে তাহারাও চলিয়া গেল, আসিল ইংরাজ। ইংরাজদের সঙ্গে নিগ্ৰো ক্রীতদাস আমদানি হইল, পূর্ণ শাস্তি স্থাপিত হইল। এ কথা স্বীকার করিতেই হইবে, স্থানীয় ক্রিয়োল অধিবাসীরা খুব সুখেই আছে। ভারত-সমুদ্রের ঢেউ ও ঝড় দ্বীপের প্রাচীন অগ্ৰীতিকর স্মৃতি বেমালুম ধুইয়া মুছিয়া ফেলিয়াছে। এখন আছে কেবল সমুদ্রজলের ও পচা নারিকেল-খোলার গন্ধ। পৰ্বতের মাথায় নারিকেল গাছের মধ্যে জ্যোৎস্না পড়িয়াছে, দৈত্যের হাতের লণ্ঠনের আলোর মত । নীচে পুকুরের জলের মত স্থির সমুদ্র জ্যোৎস্নায় চিক্‌ চিক্‌ করিতেছে। বন্দরের সম্মুখে প্ৰবালিময় তটভূমি যেন হিংস্র দন্তপাটি বিকশিত করিয়া আছে, দন্তপংক্তির ফঁাকে ফঁাকে ফেণ-চিহ্ন। পাহাড়ে একটি অপেক্ষাকৃত সমতল স্থানে আমি শুইয়া সমুদ্র দেখিতেছিলাম, প্ৰবালিময় তটভূমিতে জ্যোৎস্নার খেলা দেখিতেছিলাম, পোতাশ্রয়ের বাহিরের সমুদ্রে কয়েকটি ক্রিয়োল জেলে-ডিঙ্গির মাছ ধরা দেখিতেছিলাম। भांईि वनद्ध अiख अभिांङ्ग (अंगরজনী। তাই অনেক পুরাতন দিনের कथा ७६श्रा ७३ब्रा उtबिंदडछिलांग । প্ৰথম যেদিন আসিলাম, সেদিনের কথা বেশ মনে পড়ে । ইউরোপ হইতে ডাক-ষ্টীমারের নিম্নতম শ্রেণীতে মহাকষ্ট ভোগ করিয়া আসিতে আসিতে দূর হইতে মাহি বন্দরের নারিকেল শ্ৰেণী ও নীল পর্বতমালা চোখে পড়িতেই পথের কষ্ট ভুলিয়া গেলাম। ডেকে দাড়াইয়া দেপিলাম-প্ৰদোষের অস্পষ্ট অন্ধকারে ত্রিভুজাকৃতি সিলুয়েটে আঁকা ছবির মতই সিঙ্গুয়েট দ্বীপটি কি সুন্দর \9 शश्gभध cशिष्ठ ! tD SS DBDBBEE KK DKKSit তারপর কতকবার আমি সিলুয়েট দ্বীপের দিকে চাহিয়া চাহিয়া দেপিয়াছি, সব সময়েই তাহাকে সুন্দর ও রহস্তময় বলিয়া মনে হইয়াছে। কখনও দ্বীপের সীমারেখা অস্পষ্ট ও ছায়াময়, কখনও তাহার প্রান্তভাগ দিগন্তরেখার সহিত এক হইয়া গিয়াছে, কখনও সুৰ্য্যালোকে তাহাকে এত স্পষ্ট দেখিয়াছি যে, তীরবর্তী নারিকেল-বনানীর প্রতিটি শাখা যেন গণনা করিতে পারি। আমাদের ষ্টীমার প্রবালশৈলের ভয়ে দ্বীপ হইতে বহু দূরে মুক্ত সমুদ্রের বক্ষ দিয়া চলিতেছিল, কিন্তু তবুও আমরা লক্ষ্য করিতেছিলাম, শুভ্র বালুময় বেলা ও প্রান্তবৰ্ত্তী খামল নারিকেল-কুঞ্জ। সিলুয়েট দ্বীপে নামিয়াই বাস-স্থানের সন্ধান করিলাম। একটি ক্রিয়োল ভদ্রলোকের বাংলো ভাড়া পাওয়া গেল। ‘শ্ৰী ও দুটি মেয়ে লইয়া পাশেই নিজেদের বাড়ীতে তিনি থাকেন। মেয়ে দুটি দেখিতে বেশ সুন্দরী। তঁহাদের জীবনযাত্ৰা-প্ৰণালী বড় অদ্ভুত ; তঁাহারা ঠিক সামোয় দ্বীপের অৰ্দ্ধ-সভ্য, অৰ্দ্ধ-বন্য জাতির মত বাস করেন। মেয়ে দুটির বয়স হইয়াছে। কিন্তু তাহারা এত স্বাধীন, এত মুক্ত যে, প্ৰশান্ত সাগরের দ্বীপে মেয়েকে নায়িকা