পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yo 和衍百-西外s ছিল। অকল্যাণ্ড যখন ক্ৰমশঃ সহর হয়ে উঠছে, তখন তারা বুঝতে পারলে হাইতুরু দ্বীপের জঙ্গল থেকে জ্বালানি কাঠ সহরে চালান দিলে বেশ দু’পয়সা হয়। এই ব্যবসার সুত্রে বহির্জগতের সঙ্গে এ দ্বীপের প্রথম সম্বন্ধ স্থাপিত হল। নিউজীল্যাণ্ডের বনভূমিতে কাউরি বলে এক জাতীয় গাছ আছে-এর আঠা ও কাঠ অত্যন্ত মূল্যবান। কাউরি ছোট গাছ নয়-বিরাট বনস্পতি, কালিফোণিয়ার রেডউড গাছের সমান বিশালকায় । হাইতুরু দ্বীপের বনে অজস্র মূল্যবান প্ৰাচীন কাউরি গাছ ছিল-অকল্যাণ্ড সহর থেকে দুচারজন ‘পাকেহা” ( বর্ণসঙ্কর) মাওরী এসে এই গাছের বন জমা নিয়ে আঠা চালান দিতে লাগিল-ক্রমে তারা বড় বড় কাউরি গাছ কেটে বন ধ্বংস করে ফেলবার যোগাড় করলে। সেই সময় গবৰ্ণমেণ্টের দৃষ্টি এদিকে আকৃষ্ট হল এবং নামমাত্র মূল্যে দ্বীপটি রাহুই গবৰ্ণমেণ্টের २igछ Çद5Cछ । ছোট একটা মাওরী গ্ৰাম ছিল এখানে, তার অধিবাসীরা ওমাহা দ্বীপে চলে গেল এখানকার বাস উঠিয়েগবর্ণমেণ্ট এখানে একজন কৰ্ম্মচারী পাঠালে পাখীর তদারক করবার জন্যে। নতুন আইন পাশ হল হাইতুরু দ্বীপের পাখী কেউ মারতে পারবে না। মাওরী অধিবাসীদের অনেক তরমুজের ক্ষেত ছিল এখানে, তারা গবৰ্ণমেণ্টের অনুমতি পেলে যে তরমুজ পাকবার সময় দ্বীপে এসে ফল সংগ্ৰহ করে নিয়ে যেতে পারবে। এ সব অনেক দিনের কথা । এখন কোন মাওৱী আর হাইতুরু দ্বীপে আসে নাতরমুজের ক্ষেত জঙ্গল হয়ে গিয়েছে। হাউরাকি উপসাগরের প্রবেশপথ থেকে হাইতুরু দ্বীপের পশ্চিম-দক্ষিণ তীরের শৈলশ্রেণী দেখায় ঠিক যেন একটা ভাসমান তিমিমাছ। ক্রমে যত কাছে আসা যায়, তীরভূমি স্পষ্টতর হতে থাকে, পাহাড় ও সমুদ্রের মধ্যবৰ্ত্তী - n- .ہ"۔ م۔ ح" * বালুকাময় উপকূল নজরে আসে। ওপরে নীল পাহাড়, হাইতুক্ক ৪ জালিবোটে এইখানে নামিতে হয় । নীচে চকচকে সাদা বালির তীর, পাহাড়ের ঢালুতে সবুজ DBBDBS S BBD DLDD D DD K gBD LLLBDB এসেছে, বনের গায়ে দেখায় যেন চেরা সিঁথির মত। সবটা মিলে সে এক অপূৰ্ব্ব দৃশ্য ! দ্বীপে নামবার ও জাহাজ বাধিবার জায়গা এদিকটাতে একেবারেই নেই । অতি দুরারোহ শৈলমালায় এদিকটা ঘেরা। পাহাড়ের খাড়াই এক এক জায়গায় আটশে ফুটেরও বেশী। উত্তর-পশ্চিম দিকে সামান্য একটু খোলা যায়গা আছে, যেখানে নামা চলে। কিন্তু সমুদ্র শাস্ত না থাকলে হাইতুরু দ্বীপের কাছেই ঘেঁসা যায় না। উপকূলের অনেক দূর পর্য্যন্ত বড় বড় পাথরের চাইএ ভৰ্ত্তি, জালি বোট নামিয়ে জাহাজ থেকে ‘আসবার সময় অশান্ত সমুদ্রের বিরাট ঢেউয়ে যদি বোট এই পাথরের চাইয়ের ওপর আছড়ে খায়, তবে যত শক্ত বোটই হোক না কেন, ভেঙ্গে গুড়ো হয়ে যাবে। - এ অবস্থায় দ্বীপে নামবার চেষ্টা না করে ষোল মাইল দূরবত্তী ওমাহা দ্বীপের উপকূলে আশ্ৰয় নেওয়া ভাল। ওমাহা দ্বীপে ডাকঘর আছে, ডাকবাহী পিয়ন পনেরো দিন অন্তর একবার হাইতুরু দ্বীপে গিয়ে ওখানকার কৰ্ম্মচারীর চিঠিপত্র ও খাবার জিনিস দিয়ে আসে। সভ্য জগতের সঙ্গে এইটুকু মাত্র সম্পর্ক হাইতুরু দ্বীপের। কোনও রকমে দ্বীপে একবার পৌছে গেলে চারিদিক থেকে বন-বিহগের কাকলী কানে আসবে-পাষাণময় তটভূমিতে বড় বড় ঢেউয়ের আছাড়ৈ পড়বার গম্ভীর ধ্বনিও তার কাছে ক্ষীণ বলে মনে হবে । যােত ভাঙ্গনের কাছে যাওয়া যাবে, পাখীর কলরব তিত আরও স্পষ্টতর হবে।-শেষে কলরব এত বাড়বে, যে, আর কোন শব্দ শোনা কঠিন হয়ে উঠবে। জানুয়ারী মাসের প্ৰথমে এই দ্বীপে যাওয়া উচিত। পাখীর সংখ্যা ওই সময়ে খুব বেশী থাকে প্রতি বৎসরই।