পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেপ্ৰিদ্বীপের পাখীর আড়া The Story of San Michole নামক উৎকৃষ্ট বইখানা অনেকেই পড়েছেন। এই বইখানার লেখক ডাঃ এক্সল মুন্থি একজন নরওয়েদেশীয় চিকিৎসক। বৰ্ত্তমানে তিনি জগদ্বাপী যশের অধিকারী। অনেক দিন পূর্বে যখন তিনি প্যারিসে ডাক্তারী পড়ছিলেন, সে সময় Capri দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে সেখানকার অপরূপ প্ৰাকৃতিক দৃশ্যে তিনি মুগ্ধ হন। সেই থেকে তার জীবনের একটা সাধ ছিল, একদিন কৰ্ম্মজীবন থেকে অবসর গ্ৰহণ করে এই সাগর-মেখলা ইতিহাস-প্ৰসিদ্ধ সুরম্য দ্বীপে নিৰ্জ্জনে বাস করবেন। কেপ্ৰিস্বীপস্থ তার বাস-ভবনের নাম সান মিকেল-এবং কি করে সারাজীবন ধরে এখানে এই বাড়ী গড়া হোল, সেই সঙ্গে, তার জীবনের অদ্ভূত অভিজ্ঞতারাজির বর্ণনা ডাক্তার মুস্থির বিখ্যাত বইখানাতে পাওয়া যাবে। ডাক্তার মুন্থি শুধু চিকিৎসক নন, সুনিপুণ কথাশিল্পীও বটে। ডাঃ মুন্থি এখন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ এবং দৃষ্টিশক্তিহীন। তিনি অনেকদিনই দুটি চোখ হারিয়েছেন। তবুও এখনও বিনা অবলম্বনে তঁর বাস- ভবনের জলপাইকুঞ্জে বেড়াতে পারেন--Old Tower-এর সাইপ্রেস গাছের শ্রেণীর মধ্যে বসে পাখীর ডাক শোনেন। তঁর বইয়ে এই Old Tower-এর অদ্ভুত বর্ণনা আছে। নানাদেশ থেকে ডাঃ মুস্থির নামে চিঠিপত্র আসে। তঁর সেক্রেটারী সেগুলো তাকে পড়ে শোনায়, কোন খানার কি ভাবে উত্তর দিতে হবে তিনি বলে দেন। যশকে তিনি বড় ভয় করেন-লোকজনের সামনে যেতে র্তার বড়। আপত্তি। কত লোক জিজ্ঞাসা করে, আপনি এর পর কি বই লিখবেন ? তিনি সে কথার কোন স্পষ্ট জবাব দেন না। ডাঃ মুহী পশুপক্ষী অত্যন্ত ভালবাসেন-বিশেষতঃ পাখী। তিনি তাঁর বইয়ের মধ্যে লিখেছেন-পাখী ভালবাসি বলেই, এই নির্জন দ্বীপে আমার জীবন অত্যন্ত সুখের হয়েছে। কেপ্রি দ্বীপে আগে পাখীদের প্রতি অত্যন্ত নিষ্ঠুর আচরণ করা হোত-সমগ্ৰ ভূমধ্যসাগরের মধ্যে এই দ্বীপটি রোমানদের সময় থেকে ফাঁদ পেতে পাখী ধরবার একটা "প্রধান স্থান ছিল। ডাঃ মুস্থির চেষ্টায় সেই বর্বর ব্যাপারের অবসান হয়েছে। প্ৰথম যৌবনে তিনি যখন কেপ্ৰিন্দ্বীপে "আসেন তখন থেকেই এই বর্বর পক্ষীহনন ব্যাপার তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তখন থেকেই তার জীবনের ব্ৰত হয় এর উচ্ছেদ সাধন করা। DBBBDBDBBB LLLD DDDD BiBBBDDB KB DD DBD DDS প্রতি বৎসরই বসন্তের প্রথমে নানা জাতীয় পাখী- থ্রাশ, ঘুঘু, নাইটঙ্গেল, চাতক, রবিন, ওরিওল আফ্রিকার দিক থেকে উড়ে, উত্তর-ইউরোপের হিমপ্ৰধান স্থানে যায়, এবং সেখানে সন্তান প্রসব ও লালন-পালন করে । শরতের প্রথমেই আবার উত্তর ইউরোপ থেকে "আফ্রিকায় উড়ে চলে যায়। 2፡ ইজিপ্ট ও কেপ্ৰিন্ধীপের মধ্যে দীর্ঘ সমুদ্রপথ-এই পথ পার হতে গিয়ে ক্ষুধায় পরিশ্রমে ক্লান্তপক্ষ কত পাখী। ভূমধ্যসাগরের বুকে প্রাণহারায়। এই সুদীর্ঘ আকাশ-পথে কোথাও বিশ্রামের অবকাশ বা স্থান নেই । আকাশে সিন্ধুশকুনের দল অনেক ছোট ছোট পাখীকে মেরে ফেলে, আবার জলের খুব নিকট দিয়েও ওড়বার "উপায় নেই, ভুমধ্যসাগরের উড়নশীল মাছেরা অত্যন্ত হিংস্র, তারা লাফিয়ে পাখী ধরে। , প্রাচীন কাল থেকে কেপ্রিবীপেই এই যাযাবর পাখীর দল বিশ্ৰাম করবার জন্যে নামে। এর প্রধান কারণ এই দ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান। ইজিপ্ট থেকে উড়ে আসবার পথে ভূমধ্যসাগরের এপারে এই ক্ষুদ্র, সুন্দর দ্বীপটি প্রথমেই তাদের মনোযোগ আকৃষ্ট করে। সমুদ্রের ধারে ছোট ছোট পাহাড়, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বনরাজি, শাখাপ্রশাখার অন্তরালে ক্লান্ত পক্ষকে DDD BBB Yz KBKDBDD DBBBB DBD DDD S ऊद्धं भूद्दि नि८छन्न