পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা মূল্যবান পক্ষী SŠ9ጫ ও মেরুপ্রদেশীয় পাখীদের সহিত গুয়াণের শিকার-প্ৰণালীর পার্থক্য আছে। প্ৰথমোক্ত শ্রেণীর পাখী অনেক সময় গভীর জলে ডুব দিয়া শিকার ধরে কিন্তু "গুয়ানে ডুব দিয়া বেশীক্ষণ থাকিতে পারে না বলিয়া অল্প জলে যে সকল মাছ সঁাতায় দিয়া বেড়ায়-তাহাই ছো। মারিয়া ধরে । সকাল হইবার সঙ্গে সঙ্গে প্রায়ই দেখা যায় দশ বিশটা গুয়ানে উপকূল হইতে উড়িয়া সমুদ্রের দিকে চলিয়াঁছে-ইহারা নিচের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া এদিক ওদিক উড়িতে থাকে এবং যেমন জলের উপর মাছের BDD BDB LEBDS DBB SS DBD DDD BBDYS ইছাদের ছো। মারিতে দেখিয়া তীরবৃত্তী পাখীর বঁাক বুঝিতে পারে যে এইবার শিকারের সন্ধান মিলিয়াছে অমনি বাকে বাকে পাখী নানাদিক হইতে উড়িয়া আসিতে থাকে । গুয়ানো পাপী পেঙ্গুইণের মত সোজা হইয়া মানুষের পেস্কাদাের দ্বীপপুঞ্জের গুমানে জনসভা। মত ইটে । সাধারণতঃ ইহাদের উচ্চতা আঠারো ইঞ্চি হইতে কুড়ি ইঞ্চি ও ওজন দুইসের হইতে আড়াই সের। ইহাদের গলা নীলাভ কৃষ্ণবৰ্ণ, বুক দুধের মত সাদা। এক একটা দ্বীপে বহুসংখ্যক পাখী একত্রে বাস করেডাঃ কোকার একবার হিসাব করিয়া দেখিয়াছিলেন দক্ষিণ চিনকা দ্বীপে একটিমাত্র বাসস্থানে অন্ততঃ দশলক্ষ পাখী থাকে। কোনো কোনো স্থানে ইহাদের সংখ্যা প্ৰায় এক কোটি। মানুষ দেখিলে ইহারা সকলে একসঙ্গে উড়িয়া যায় না-প্ৰথমে মানুষকে খুব কাছে আসিতে দেয়-এমন কি অনেক সময় দুই হাত দূরে আসিলেও নড়ে না । মনে হয় বুঝি হাত বাড়াইলেই ধরা যাইবে । হঠাৎ খুব নিকটের দু’। দশটা পাখী উড়িতে আরম্ভ করে-তাছাদের দেখা দেখি বিশটা পঞ্চাশটা ক্ৰমে দুশো পাঁচশো পাখী ডানার ভীষণ ঝটপটু শব্দ করিতে করিতে আকাশে উঠিয়া পড়ে। দেখিতে দেখিতে কালো রংএর সচল বাকে ‘আকাশ আবৃত হয়ে পড়ে। কিন্তু বেশীক্ষণ আকাশে থাকে না, মানুষ সরিয়া ক্ৰমে দুরে যাইবার সঙ্গে সঙ্গে প্ৰথম যে বাকিটা উড়িয়াছিল, সেটা মাটীতে নামে। এই রকমে একে একে আগের সব বাকিগুলাই আবার মাটিতে আসিয়া বসে-তখন দুৱতম প্রান্তের বাঁকগুলি উড়িতে আরম্ভ সমুদ্রতারে পাহাড়ের শীর্ষে উৎসুক গুয়ানে-কুল। করিয়াছে, একদিকে যত ওড়ে, অন্যদিকে তত বসে। বেশী কুইনিন সেবনে যেমন কান ভো ভো করে, নিকটে গিয়া গুণিলে। ইহাদের অসংখ্য ডানার অনবরত ঝটপটুধ্বনিতে কানের মধ্যে তদ্রুপ অস্বস্তি অনুভূত হইতে থাকে।