পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ào ਵਿਚܓ মরুভূমির মধ্য দিয়া প্ৰতিদিন বহু বণিকদল যাতায়াত করে। গবৰ্ণমেণ্টের কৰ্ম্মচারীগণও সরকারী কাজে একস্থান হইতে অন্য স্থানে ভ্রমণ করে। মরুভূমিতে কেহই এক ভ্ৰমণ করে না-সবাই দল বাধিয়া যায় এবং এক এক দলে অনেক উট ও লোকজন থাকে। লিবীয় মরুভূমিতে ভ্ৰমণ খুব নিরাপদ নয়।--বেঘোরে পড়িলে মরুভূমির মধ্যে প্ৰাণ হারানো ও বিচিত্র নয়। এই সকল মরুভূমিতে প্ৰায় ভীষণ ঝড় উঠিয়া চারিধারে বালি উড়াইতে থাকে-একটু আধটু বালি নয়, সে ভয়ানক ব্যাপার। মরুভূমির মধ্যেকার বালির পাহাড় তখন সচল হইয়া উঠে, উড়ন্ত বালিরাশি সূৰ্য্যদেবকে ঢাকিয়া ফেলে। এই অবস্থায় পথিক প্ৰায়ই বিপদে পড়ে-বালি উড়িয়া চোখে মুখে আসে বলিয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে তো হয়ই-কিন্তু মুদিল এই যে অত্যন্ত সতর্ক থাকিলেও এই সময় অনেকে পথ হারাইয়া ফেলে এবং এই জনমানবহীন পদচিহ্নহীন মরুপ্রদেশে পথ হারানো মানে নিশ্চিত মৃত্যু। মরুভূমিতে বড় উঠিলে কখনো দাড়াইয়া, থাকিতে নাই-অগ্রসর হওয়া যতই কষ্টকর হউক না কেন, অগ্রসর হওয়াই বিধেয়—নতুবা বালুরাশি দ্বারা প্রোথিত হইতে হইবে। অথচ সে সময় যদি সামনের দিক হইতে ঝড় বয়, তবে অগ্রসর হওয়া একরূপ অসম্ভব বলিলেও চলেডান দিক বা বাম দিক হুইতে ঝড় বহিলে ভ্ৰমণ তত কষ্টকর হয় না। কিন্তু অগ্রগমন কষ্টসাধ্য হইলেও অভিজ্ঞ পথিক ঝড়ের সময় কখনোই এক জায়গায় দাড়াইয়া অপেক্ষা করে ন—এমন কি উটেরাও ইহা বুঝিতে পারিয়া যত ধীরে ধীরেই হৌক-অগ্রসর হইবেই। মরুভূমিতে চলাফেরার কতকগুলি নিয়মকানুন আছে- বাড়ের সময় কি করিতে হয়, পথ হারাইয়া গেলে কি করিতে হয়, জল কি ভাবে খুজিতে হয় ইত্যাদি। এগুলি মা জানা থাকিলে প্রায়ই বেথোরে পড়িয়া প্ৰাণ হারাইবার জঘন্ধুবের মসজিদের গুম্বজ ; প্রধান সেগ্নাসীর সমাধি ইহার নীচে অবস্থিত। জালোর ওয়েশিস। ইহার খাির্জয় তালবীথির আশ্রয়ে প্রায় ২• • • লোকের বসতি । সম্ভাবনা । এই জন্য উপযুক্ত ও অভিজ্ঞ পথপ্ৰদৰ্শক ভিন্ন কখনই মরুভূমির পথে যাইতে নাই—অনেক সময় অভিজ্ঞ ভ্ৰমণকারীর দলও মারা পড়ে । থিকদের সঙ্গে খাদ্য থাকে প্রধানতঃ চাউল, ময়দা, খেজুর ও বেদুইনদের মাখন। এই মাখন অতি অদ্ভুত পদার্থ। ভেড়ার দুধ হইতে ইহা তৈয়ারী হয়, কিন্তু বেদুইনরা টাটুকা মাখন ব্যবহার করিতে জানে না। চামড়ার