নরওয়ের পল্লী জনৈক মার্কিণ তরুণীর অভিজ্ঞতা নরওয়ে পাহাড় ও সমুদ্রের দেশ। নরওয়ের দক্ষিণাংশ দেশের অন্য অঞ্চলের অপেক্ষা কিছু সমতল হলেও অন্য দেশের তুলনায় পর্বতময়। আমার অনেক দিনের ইচ্ছা নরওয়ের পল্লীগ্রামে কিছুদিন কাটাই। সেলার সুযোগও ঘটল । আমাদের বাড়ীতে একজন নাস ছিল আমাদের বাল্যকালে । আমরা বড় হবার পরে সে দেশে ফিরে গিয়ে বিবাহ করে সংসারী হয়েছে। তার নাম রাসন । রাসনা হঠাৎ আমাকে পত্র লিখলে সে আমায় দেখতে চায়। • ১লা আগষ্ট অসলো বন্দরে নেমেই রাসনাকে পত্র দ্বারা জানালাম শুক্রবারে আমি তার বাড়ীতে যাচ্ছি। নির্দিষ্ট দিনে নেসবিন ষ্টেশনে আমি একখানি তৃতীয় শ্রেণীর কামরা থেকে নেমে দেখি রাসনা তার ভাল পোষাকটী পরে আমার অপেক্ষায় প্ল্যাটফৰ্ম্মে দাড়িয়ে আছে। গত পনের বছরের মধ্যে রাসনা কিছুই বদলায় নি। কিন্তু আমি অনেক বদলে গিয়েছি, তখন আমি ছিলাম দশ বছরের মেয়ে, এখন আমার বয়স পচিশ । রাসনা কিন্তু আমায় দুৰ্ব্ব থেকে দেখেই চিনলে ও ছুটে আমার কাছে cg ষ্টেশনের ফটকের বাইরে একখানা ১৯৭৮ সালের মডেলের ফোর্ড ট্যাক্সি দাড়িয়েছিল, দুজনে আমরা তাতে গিয়ে উঠলাম। রাসনার বাড়ী ষ্টেশন থেকে তিন মাইল দূরে। সেখানে পৌছে আমার জিনিসপত্র গাড়ী থেকে নামানো শেষ হবার পূর্বেই আমায় খেতে দেওয়া হল। সন্ধ খাবার জিনিসই বাড়ীতে তৈরী বা ক্ষেত থেকে টাটকা সংগ্ৰহ করা। দুধ, ফল, লেটুস শাক, রুটী ও আচার! রাসনার স্বামীর নাম গুটম্ম । লম্বা জোয়ান চেহারা, বেশ হাসি মুখ, খোলা উদার মন । গুটিৰ্ম্মের বাবা পিণ্ডারের সঙ্গেও আলাপ হল, তার বয়স আশী বছর, গায়ে তঁর স্বীর লোনা মোটা কাপড়ের পোষাক। রাসনার সাত বছরের ছোট মেয়েটা আমায় দেখে লজ্জায় উঠানের খড়ের গাদার আড়ালে লুকিয়ে রইল। গ্রামের পিছনকার পর্বতের শিখরে মেঘ জমেছে। মাঠে আরও খড় রয়েছে, তুলে না। আনলে ভিজে যাবে। গুটম্ম, রাসনা, গুটিৰ্ম্মের বৃদ্ধ পিতা সবাই খড় তুলতে গেল, আমি বললাম, আমিও সাহায্য করব। আমায় খড় জড় করতে দেখে ঠাকুরদাদা হেসেই খুন, প্ৰতিবাসীদের ডেকে দেখাতে লাগল, দেখ আমেরিকার মেয়েটা কেমন খড় তুলছে। আমরা যেমন বাড়ী ফিরে এসেছি, একটী বৃদ্ধ আমাদের সামনে এসে আমায় খুব ভদ্রতার সঙ্গে বললে, দয়া করে সামান্য একটু কফি খাও। এই বৃদ্ধাটীকে এই প্রথম দেখলাম, শুনলাম সে রাসনার স্বামীর খুড়ীমা। r मन्नअभन्न ठून्मऔं ( अक्वीिन अवश्राश्न मश्चिङ ) ।
