উত্তর-আমেরিকা হইতে দক্ষিণ-আমেরিকা । C আকাশ Plae ) .ফ্রডরিক সিম্পিক উড়ো-জাহাজে ওয়াশিংটন ডি, সি, থেকে বুয়োনস এরিস পৰ্যন্ত গিয়েছিলেন। কারিব সাগরের পথ দিয়ে। পথে কারিব সাগরের মনোরম দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করেন, তারপর ওরিনাকো ও আমাজন নদীর ব-দ্বীপ, তার পর ব্ৰেজিলের শু্যামল উপকূল । র্তার লিখিত বিবরণ থেকে উদ্ধৃত করা গেল :- ‘হাভানা বন্দর পার হয়েছি মিনিট চল্লিশ হবে, এমন সময় দূরে সমুদ্রবক্ষে ঘন কালো ঝোড়ো মেঘের নীচে একটা প্ৰকাণ্ড জলস্তম্ভ দেখা গেল । আমরা তার চারিধারে চক্রাকারে উড়লাম, এবং উড়ো-জাহাজ থেকে জলস্তম্ভের ফটো নিলাম। ঠিক একটা কৃষ্ণসাপের মত সেটা প্ৰথমে মেঘের কোল থেকে নামূল-ক্রমে সেটা মোটা হ’তে হ’তে ৬• • ফুট দীর্ঘ চিমনীর আকার ধারণ করলে। যেখানে তার সঙ্গে সমুদ্রের জলের মিলন ঘটল, জলস্তম্ভের শুড়টা সমুদ্রের সেই অংশটা যেন মন্থন করছে। তার পর জলস্তম্ভটা একটু বেঁকে গেল । এবং এদিক-ওদিক দুলতে লাগল, যেন কোনো অতিকায় অশ্ব তার পুচ্ছ আন্দোলন করছে—এই পুচ্ছটা ক্রমে ক্ৰমে বেঁকে আকাশের দিকে উঠে যেতে যেতে ঘন বৃষ্টির ধারার মধ্যে মিলিয়ে গেল। अांशi(लद्ध उi१J छिल ७iल। छलস্তম্ভের এ-ধরণের ফটো নেওয়া বড় Ym-Yr--> ኣ፡ዃ একটা ঘটে না । জলস্তম্ভ : প্রায় সাত মিনিট কাল স্থায়ী হইয়াছিল। উড়ো-জাহাজ হইতে ফটো তোলা। ] আমাদের যাত্রার উদ্দেশ্য ছিল শুধু দৃশ্যাবলীর ফটো নেওয়া নয়, পথে যে সকল স্থান পড়বে, তাদের লোকজন, আচার-ব্যবহার সভ্যতা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্বন্ধে বিশেষ ভাবে অনুসন্ধান করা ছিল আমাদের প্রধান কাৰ্য্য। আর মনে ভাবুন, আমরা কোথা দিয়ে যাচ্ছি। কিউবা, হেইট, পোটো রিকো, ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ-তারপর আণ্ডিজ পৰ্বতমালা অতিক্রম ক’রে চিলি এবং পেরু-কত ধরণের মানুষ, কত ধরণের ভাষা, ইতিহাস, আচার-ব্যবহার, স্থাপত্যরীতি, প্ৰাকৃতিক দৃশ্য! মে মাসের চমৎকার সকাল বেলাটিতে ওয়াশিংটন থেকে আমরা আকাশে উড়লাম-নিউইয়র্ক ও বুয়োনস এরিস্সাহরদ্বয়ের মধ্যে যে যাত্রী ও ডাকবাহী উড়ো-জাহাজের সারি যাতায়াত করে, তাদের মধ্যে বৃহত্তম উড়ো-জাহাজে আমরা যাচ্ছিলাম। আমাদের জাহাজের নাম “আরজেন্টিনা”-নিউইয়র্ক, রিয়ো, বুয়োনস এরিস, সংক্ষেপে “নিরব।” লাইনের ; প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজ কোম্পানী এর পর এই জাহাজ খানাকে কিনে নিয়েছিল।
পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১
অবয়ব