চতুর্থ অধ্যায়। সেই শব্দ বহন করিয়া বিপিন-বিহারি ধরাশায়ী নিদ্ৰিত জীবদিগকে মৃদুমন্দভাবে বলতেছে—জাগরিত হইয়া বিমলাকে আশ্ৰয় প্ৰদান করা ; যেন তাহারা সেই শব্দ শ্রবণেই ক্ৰমে ক্রমে গাত্ৰোত্থান করিয়া ইতস্ততঃ দৃষ্টি করিতে লাগিল। বিমলা ত্ৰিশির বস্ত্ৰে দণ্ডায়মানা হইয়া যুথভ্রষ্টচিত্রাঙ্গিনীর ন্যায় ইতস্ততঃ চঞ্চল দৃষ্টিপাত করিয়া পতিগমন-পথ অন্বেষণ করিতে লাগিলেন, এবং আকুল হইয়া আরণ্যকদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “হে বৃক্ষ বনস্পতে ! হে গুল্ম-লতে ! হে পশু-পক্ষি ! হে বনদেবতে । আমার প্রতি সদয় হইয়া আমার পতির গমন-পথের প্রদর্শক হও। উষার তুষাররাশি দূর্বাদলে উজ্জ্বল মুক্তার ন্যায় বিকীর্ণ ছিল। তাহার উপর দিয়া গমন করায় বিজয়চন্দ্রের পদাঙ্ক হইয়াছিল। বিমলার দুঃখে দুঃখিত হইয়া সেই পদাঙ্ক বিজয়চন্দ্রের গমন-পথ প্রত্যক্ষবৎ দেখাইতে লাগিল। কিন্তু তিনি ভ্ৰম-বশতঃ বিবেচনা করিতে না পারিয়া বিপরীত-পথাবলম্বিনী হইলেন। সুতরাং পতির সহিত র্তাহার সম্মিলনের ग्रांद्र नष्ठांना ब्रशिल ना । डिनि मशिद्वा झुङक्रिनौद्ध ग्रांश, শ্বলিত বেণী-বন্ধনে, কুরঙ্গহার কুরঙ্গিনীর ন্যায় চঞ্চল নয়নে মাতঙ্গহারা মাতঙ্গিনীর ন্যায় বিচলিতচরণে, বারংবার প্ৰিয়-পতিসম্বোধনে গমন করিতে লাগিলেন। ক্রমে অপরাহু সময় উপস্থিত হইল। তখন শোক ও ভয়ে একেবারে জড়ীভূতা হইয়া ক্ৰন্দন করিতে করিতে কহিলেন, “হে জগদীশ্বর, তুমি জলে স্থলে শূন্যে সর্বত্র সমানভাবে বিরাজমান রহিয়াছ, কেবল
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/১০১
অবয়ব