0 e বিজয়-বসন্ত । তপস্বীর পুত্ৰ হইবেন, এই বিবেচনায় মহৰ্ষিকে তদীয় পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন না। কিন্তু তপ্তকাঞ্চনের ন্যায় বসন্তকুমারের সবল শরীরকান্তি, আজানুলম্বিত কোমল বাহুযুগল, প্রশস্ত ললাটদেশ, ঈষদ্রাক্ত বিশাল নেত্রদ্বয়, অসীমসাহস-পূর্ণ মুখশ্ৰী, গম্ভীরাকৃতি, উদার প্রকৃতি এবং বাক্যবিন্যাসে রসনার পটুতা ও সাহসিকতা দেখিয়া ক্ষত্ৰিয়-ভ্ৰমে বারংবার তাহার। আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন । গগনমণ্ডলের ভাব পরিদর্শনে বহুদৰ্শী নাবিকেরা যেমন ঝটিকার ও বৃষ্টিপাতের নিণয় করে, তদ্রুপ সারদ্বাজ মুনি বসন্তকুমারের প্রতি রাজাকে বারংবার দৃষ্টিপাত করিতে দেখিয়া, তদীয় মানস বুঝিতে পারিয়াছিলেন। বসন্তকুমার রাজার নিকট পরিচিত হন, তাহার এরূপ ইচ্ছা ছিল না। রাজা পাছে জিজ্ঞাসা করেন, এই ভয়ে তিনি পূর্বেই তঁহাকে আপন আহবানের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। ভূপতি কহিলেন, ভগবন! আমার দুহিতা সুকুমারী উদ্বাহযোগ্য হইয়াছেন। আমি মনে করিয়াছিলাম, তুল্য-গুণ-রূপ সুযোগ্য ভাজনে সম্প্রদান করিব । কিন্তু অমাত্য তদ্বিষয়ে দোষ কীৰ্ত্তন করিয়া আমাকে এককালে নিরুৎসাহ করিয়াছেন । বস্তুতঃ সম্প্রদান ও স্বয়ংবর, এ উভয়ের তারতম্য কিছুই স্থির হইতেছে না। তজ্জন্য আমি আপনাকে আহবান করিয়াছি, আপনি যাহা স্থির করেন, তাহাই আমার কৰ্ত্তব্য । , মহৰ্ষি কহিলেন, মহারাজ ! অমাত্য উদ্বাহবিষয়ে যে আপত্তি করিয়াছেন, তাহা যুক্তিযুক্ত বটে ; কেননা পরিণয় পরিণামে
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/১০৬
অবয়ব