বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शर्छ অধ্যায় । VN) কথা সামান্য নয় যে সঙ্ক্ষেপে বলিব। তুমি পতি-বিরহে বনে বনে রোদন করিয়া ব্যাকুল হইয়াছ এবং আমিও অনেক ক্ষণ রোদন করিয়া কাতর হইয়াছি। এস আমরা নিঝর-জলে হস্ত পদ প্ৰক্ষালন করিয়া মন্দিরে গমন করি। যত দিন পতির সঙ্গে সাক্ষাৎ না হয়, তত দিন এই নিৰ্জন স্থানেই থাকিব । তুমিও আমাকে কত কথা কহিবে এবং আমিও তোমাকে কত দুঃখের কথা বহিব । এই বলিয়া দুজনেই নিঝরনীরে হস্ত পদ প্ৰক্ষালন করিয়া মন্দিরে প্রবেশ করিলেন। মন্দিরবাসিনী কহিলেন, ভগিনী, আমার দুঃখের কথা শুন । বিজয়পুরাধিপতি রমণীমোহন নামে অতি পুণ্যশীল রাজা ছিলেন। আমি তঁহার একমাত্র কন্যা, আমার নাম বিমলা । আমার বয়স যখন পা, বৎসর, তখন পিতা সম্মুখসংগ্রামে প্ৰাণত্যাগ করেন। মাতা কেবল আমাকে অবলম্বন করিয়া পতিবিরহ বিস্মৃতি হইলেন, প্রধান মন্ত্রী রাজকাৰ্য্য করিতে লাগিলেন। আমার কন্যাকালি গত হইলে, মাতা। ঘর-জামাতার জন্য অনেক যত্ন পাইয়াছিলেন, কিন্তু কোন ক্রমেই তাহা সংঘটন করিতে পারিলেন না। পরে দেবনির্বন্ধ দৈবেই সম্পন্ন করিলেন। আমার পিতা মৃগয়ায় গিয়া কয়েকটা হস্তী ধৃত করেন, তাহার মধ্যে একটা হস্তী তাহার অতিশয় প্রিয় হইয়াছিল। তিনি যখন যেখানে যাইতেন, হস্তাটীি প্রায় তাহার সঙ্গে সঙ্গেই থাকিত । বিশেষতঃ সে পিতার সুসানকালে দন্তে সিংহাসন ধরিয়া বাহিরে দাড়াইয়া থাকিত । পিতা প্ৰায়