ষষ্ঠ অধ্যায়। Ꮌ 8Ꮌ বিজন ৰনে একাকী পতিত রহিয়াছেন এই মাত্ৰ কহিস্তেই তিনি ভ্ৰাতৃশোকে মুগ্ধ হইলেন। তঁহার চক্ষু হইতে অনর্গল অশ্রুধারা নিৰ্গত হইতে লাগিল। অমাত্য এই পরিচয় পাইয়া বসন্তকুমারের অন্বেষণে চতুর্দিকে তুর্ণর্গতি তুরঙ্গারোহীদিগকে প্রেরণ করিলেন। ভগিনি সুকুমারি! তোমার বাক্যানুসারে বোধ হইতেছে, সারদ্বাজ মুনি বসন্তকুমারকে পূর্বোেবই আপন আশ্রমে লইয়া গিয়াছিলেন। সুতরাং প্রেরিত অশ্বারোসী দূতগণ নিরাশ হইয়া প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিল। এই সংবাদ শ্রবণে আমার পতি বিজয়চন্দ্ৰ এক কলো হতজ্ঞান ফাইলেন। এ মে তাস্লার অ্যারোগার সঠিত শোক পনোদন তহঁতে লাগিল। মাতা তাহার বিদ্যাবুদ্ধি ও রূপে সন্তুষ্ট হইয়া তদীয় করে, শুভ দিনে আমাকে সম্প্রদান করিলেন। অনন্তর তিনি প্রজাবর্গের সন্মতিক্রমে রাজা হুইয়া রাজকাৰ্য্য করিতে লাগিলেন । আমি এক দিন ইচ্ছাবর্তী হইয়া কহিলাম, • প্ৰাণপতে | চিত্ততোষ-বিপিনে আমার পিতার এক - প্রমে{দমণ্ড° আছে, যদি ইচ্ছা হয় ভাবে চলুন, তথায় কিছু কালা বাস করিয়া বনচরগণের স্বাভাবিক অবস্থা দৰ্শন করি । তিনি তাহাতে সম্মত হইয়া আমার সঙ্গে তথায় গমন করিলেন। নানারূপ কৌতুকে কিছুকাল গত হইল। পরে এক নিশি তিনি অকস্মাৎ শয্যা হইতে উঠিয়া “প্ৰাণের ভাই রে বসন্ত !” এই মাত্ৰ কহিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। আমি অনেকবার জিজ্ঞাসা করিলাম, আমার কথায় উত্তর না দিয়া উন্মত্তের ন্যায় বনাভিমুখে
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/১৪৭
অবয়ব