বিজয় বসন্ত । واجد করণে ঈশ্বরানন্দ রসের প্রবাহ প্ৰবাহিত না হইতে থাকে। অনস্তর অংশ পরম্পরার ধ্বংস হইলে, ঘোর তিমিরাবৃত অমাবস্যাতে সেই নিৰ্ম্মল দু্যতির আর কিছুই নিদর্শন থাকে না। মনুষ্যেরাও বাল্যাবস্থার সহিত কৈশোর, প্রৌঢ় ও বৃদ্ধাবস্থার তুলনা করিলে, বোধ হয়, বিশ্ববিধাতার বিশ্বরাজ্য কেবলই পরিবৰ্ত্তনশীল। মনুষ্য প্রথমে সংজ্ঞাবিহীন পঙ্গ, ও পরাধীন থাকেন। পরে ক্রমে যৌবনাবস্থা প্রাপ্ত হইলে বোধ হইতে থাকে, এরূপ সৌকুমাৰ্য্য ও সৌন্দৰ্য্যের মধুর মাধুৰ্য্য কখনই হ্রাসপ্রাপ্ত হইবে না। কিন্তু বৃদ্ধাবস্থায় যৌৰনাবস্থার সেই সুন্দর রূপ-লাবণ্যের সুদৃশ্যতা আর কিছুই দৃষ্ট হয় না। শ্যামবৰ্ণ কেশ শুভ্রবর্ণ ধারণ করে ; কপোল কণ্ঠ পিশিত লোলিত হয় ; শক্তি অভাবে তৃতীয় পদতুল্য যষ্টি ধারণ আবশ্যক হইয়া উঠে। দর্শনাভাবে রসনা স্পষ্ট বক্ততা করিতে সমর্থ হয় না । এবস্তপ্রকার সজীব ও নিজস্ব সকল পদার্থেরই নিরন্তর পরিবর্তন দৃষ্ট হইতেছে। অতএব, অনিত্য প্ৰাণী ও অপ্ৰাণী পদার্থের বিয়োগে বিচ্ছেদ দুঃখাপন্ন হওয়া বিজ্ঞ লোকের উচিত নয় । যদি বলেন, নিয়মকাল প্ৰাপ্ত না হইতে কালপ্ৰাপ্ত হওয়ার কারণ কি ? মহারাজ ! এ বিষয় কিয়ৎক্ষণ আলোচনা করিলে, দেদীপ্যমানরূপে প্ৰকাশিত হইবে যে, পরম কারুণিক পরমেশ্বর আমাদিগকে বহুবিধ মনোবৃত্তি প্ৰদান করিয়া, বুদ্ধিবৃত্তির সহিত বাহা বস্তুসমুদ্ৰায়ের সম্বন্ধ রাখিয়া, সুচারু কৌশল প্রদানে, প্ৰত্যক্ষ সাক্ষাৎস্বরূপ এই অভিপ্ৰায় বিধান করিয়াছেন,-মাজ্জিত বুদ্ধি
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৩০
অবয়ব