বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। একদা ভূপতি বিচারাসনে আসীন হইয়া ন্যায়ান্যায় বিবেচনা-পূর্বক বাদী ও প্রতিবাদীর অভিযোগের বিচার করিতেছেন, এমন সময় প্ৰতিহারা আসিয়া অবনতিশিরে নিবেদন করিলমহারাজ ! আপনার কুলপুরোহিত ভগবান ধৌম্য " বহিদ্বারে দণ্ডায়মান আছেন ; আদেশ হইলে আসিয়া আশীৰ্বাদ করেন। মহীপাল সম্মান-পূর্বক আনিতে আজ্ঞা করিলেন। পুরোহিত রাজ-সন্নিহিত হইয়া আশীঃপুষ্প প্ৰদান করিতে দক্ষিণ হস্ত উত্তোলন করিলেন। রাজা প্ৰণিপাত পূর্বক কুসুম গ্ৰহণ করিয়া, আসন গ্ৰহণ করিতে কহিলেন। ঋষিবর মণিময়-চতুষ্কোপরি উপবিষ্ট হইলেন। এই কালে সভা-ভঙ্গ-সূচক দুন্দুভিধ্বনি হইল, পাত্ৰ-মিত্ৰ প্ৰশ্নকর লেখক প্রভৃতি কৰ্ম্মকর ও কৰ্ম্মচারিগণ প্ৰস্থান করিলেন । ধৌম্য ঋষিবর রাজার অবকাশ প্ৰতীক্ষা করিতেছিলেন, এক্ষণে তঁহাকে নিৰ্জনে পাইয়া কহিলেন, মহারাজ ! লক্ষীস্বরূপিণী রাজ্ঞীর পরলোকপ্ৰাপ্তি হওয়ায়, আমি জীবন্ম তবৎ হইয়া আছি। সাধ্য কি, সকলই ঈশ্বরের নিয়মাধীন, চিন্তা করিলে আর কি হইবে, উপায়ান্তর নাই । সর্বদা শোকে মগ্ন থাকিলে নৃপতিরা সুচারুরূপে রাজকাৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা করিতে পারেন না,