जैिोङ्ग अशान्न । WR লোকে তাহা বুঝে না। হা বিধে ! বড় আশা করিয়া দুটি ভাইকে একাল পৰ্য্যন্ত পালিতেছিলাম, আমার সে আশা একবারে নিৰ্ম্মল হইল । শান্ত এইরূপ বিলাপ-বদনে বিজয়চন্দ্ৰ ও বসন্তকুমারের নিকটে গেল। তাহারা জিজ্ঞাসা করিলেন, আয়ি, তুই কঁদিস কেন ? তোর কি হইয়াছে ? কে তোরে আজি এমন করে কঁদাইল ? শান্ত কহিল, বাছা রে । আমার মনের ব্যথা বলিবার নহে। বলিতে বাক্য সরে না। বুক ফাটিয়া৷ ” যাইতেছে । তোদের বিমাতা-সাপিনী অজ্ঞাতসারে তোদিগকে ংশন করিয়াছে, আর উপায় নাই। আমি তোদের পিতাকে পুনর্বার বিবাহ করিতে পুনঃ পুনঃ নিষেধ করিয়াছিলাম। তিনি তাহা না শুনিয়া ডাকিনীকে বিবাহ করিলেন। সেই অবধি আমার মনে সৰ্ব্বক্ষণ যে আশঙ্কা হইত, আজি তাহাই ঘটয়াছে। কালিনী রাজাকে যে কথা কহিল, তাহা অকথ্য। রাজা বিচার না করিয়া তোদিগকে বধিতে কহিলেন । কালি প্ৰভাতে প্ৰাণনাশ করিবেন। হায় হায় কি সর্বনাশ ! অকস্মাৎ কেনই বা এমন হইল ? এ বিষম সঙ্কটে কে তোদের পক্ষ হইবে ? এখানে ত সকলেই রাজার তোষামোদ করে। তিনি যাহা বলিবেন, তাহাই বিচারসঙ্গত হইবে। কাল রজনী প্ৰভাত হইলে আর দেখিতে পাইব না। চাঁদ-মুখে সুধামাখা কথা আর শুনিব না। তোদিগকে আর কোলে লইতে পারিব না। আয় রে বিজয় ।
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৪৩
অবয়ব