R বিজয়-বসন্ত । নিশ্বাস প্ৰশ্বাস ত্যাগ করিতেছে । আপনার অবস্থাও তদপেক্ষা নূ্যন নহে। পরিধেয় দুকুল ও উত্তরীয় বসন স্বেদজলে একেবারে আর্দ্র হইয়া গিয়াছে, তথাপি মূগান্বেষণে বিরত হইলেন না। অনন্তর তিনি তৃষ্ণাৰ্ত্ত হইয়া জলান্বেষণে সমীপস্থ এক তপোবনে প্রবেশ করিলেন এবং মৌনব্ৰত এক মুনির নিকটে কাতরস্বরে বারংবার জল প্রার্থনা করিতে লাগিলেন। মুনিবার অনির্বচনীয় ভাবের প্রাদুর্ভাবে বাহাজ্ঞানশূন্য ছিলেন, রাজার বাক্য র্তাহার কর্ণগোচর হইল না ; সুতরাং তিনি কোন কথার উত্তর দিলেন না। সম্রাটু অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত দণ্ডায়মান থাকিয়া, দৈবদুৰ্বিপাকে রাগান্ধ হইলেন, এবং মহৰ্ষিকে যৎপরোনাস্তি তিরস্কার করিয়া কহিলেন, “রে তাপস । রাজাধিরাজ চক্ৰবৰ্ত্তী তোর সমক্ষে বিনীতভাবে দণ্ডায়মান ও পিপাসু হইয়া বারংবার জল প্রার্থনা করিতেছেন; অভ্যর্থনা দূরে থাকুক, অহঙ্কার বশতঃ তুই উত্তর দানেও বিরত হইলি । থাক, ইত্যার উচিত প্ৰতিফল দিতেছি।” এই বলিয়া তিনি চারিদিকে দৃষ্টি করিতে করিতে এক মৃত সৰ্প দেখিতে পাইলেন। তাহাকে শরাগ্রে বিদ্ধ করিয়া মুনির কণ্ঠে অৰ্পণ পূর্বক প্ৰস্থান করিলেন। অপমানিত মুনির পুত্ৰ শৃঙ্গ স্থানান্তরে বয়স্যের সহিত ক্রীড়া করিতেছিলেন। সন্দীপন মুনির পুত্ৰ কৃশ যাদৃচ্ছিাক্রমে তথায় উপস্থিত হইয়া বারংবার ক্রীড়ার ব্যাঘাত জন্মাইতে লাগিলেন। শৃঙ্গী ক্ৰোধ-পরবশ হইয়া কহিলেন, “কৃশে! আত্মগৌরব আর বৃদ্ধি করিস না, তোর পিতার যত বিদ্যা বুদ্ধি
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৬
অবয়ব