বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। বৎসগণ! বসন্তকুমার সারদ্বাজ মুনির আশ্রয় পাইয়া বিবিধ বিদ্যায় বিভূষিত হইতে লাগিলেন। এ দিকে বিজয়চন্দ্ৰকে করিবার করবেষ্টন করিয়া ধাবিত হইল, তোমরা এইমাত্ৰ শুনিয়াছ। পরে তঁহার কি দশা হইয়াছিল, এ ক্ষণে বিস্তারিতরূপে তাহাই বৰ্ণন করিতেছি, মনােনিবেশপূর্বক শ্রবণ কর। অন্যমনস্ক হইলে কিছুই স্মরণ থাকিবে না। যে সরোবরের কূলে বিজয়চন্দ্ৰকে করিবার কারাবদ্ধ কৰু, তথা হইতে ছয় ক্রোশান্তর বায়ু-কোণে সুপ্ৰসিদ্ধ বিজয়পুর ; উক্ত নগর অদ্যাপি বৰ্ত্তমান রহিয়াছে। উহা রাজা রমণীমোহনের রাজধানী ছিল। নৃপতির যেরূপ পরমেশ্বর পরায়ণতা ও উদার চরিত্র, তাদৃশ বিক্রম বা বিষয়-বুদ্ধি ছিল না। র্তাহার প্রধান মহিষীর নাম সুশীলা। তিনি গুণানুরূপ রূপবতী ছিলেন না। কেবল বিবিধ বিদ্যা-ভুষণে ভূষিত হওয়ায়, পতির মনোমোহিনী হইয়াছিলেন। মধুরস্বরের রূপ কুৎসিত হইলেও গুণে যেমন লোকে মোহিত হয়, রাজাও তদ্ররূপ প্ৰিয়তমার গুণে একান্ত বশীভূত ও বিমুগ্ধ ছিলেন। বস্তুতঃ গৃহিণিগণের যে সমস্ত গুণ থাকা আবশ্যক, রাজ্ঞী। সে সমুদায়ের একাধার বলিলেও বলা যায়। রাজমহিষী বলিয়া তঁহার কিছুমাত্র অভিমান ছিল না। তিনি স্বহস্তে রন্ধন করিয়া পরিবার এবং পরিচারিকাদিগকে