চতুর্থ অধ্যায়। পলায়ন করিতে উদ্যত হইয়াছিলেন। কিন্তু তাহা করিলে পারত্ৰিকে পরমেশ্বর সমীপে দণ্ডনীয় হইবেন, আমি এই ভয়ে আপনাকে যুদ্ধপক্ষাবলম্বন করিতে উৎসাহিত করিয়াছিলাম। আপনি সম্মুখ-সংগ্রামে শরীর ত্যাগ করিয়া পরমপিতার সহবাসের পাত্ৰ হইলেন । কিন্তু আমাকে শোক-সাগরে পতিনিধনরাপ-কলঙ্কতরঙ্গোপরি যাবজ্জীবন ভাসমান রাখিলেন ।” রাজ্ঞী এইরূপ বিলাপ করিয়া পতিসহগামিনী হইতে ইচ্ছাবতী হইয়া, চিতা প্ৰস্তুত করিতে আদেশ করিলেন। সৈন্যেরা চন্দনকাষ্ঠ আহরণ করিয়া সমাধিকুণ্ড প্ৰস্তুত করিল। পতিপ্ৰাণা সুশীলা পতির সহমরণে একান্ত উদেযাগিনী হইলেন। চিন্তারোহণ করিতে যান, এমন সময়ে প্রধান সেনাপতি ধূম্রাক্ষ তঁহাকে নিবারণ করিয়া কহিলেন, “মাতঃ । পিতা আমাদিগকে পরিত্যাগ করিয়াছেন, এখন কি আপনিও আমাদিগকে পরিত্যাগ করিলেন ? আমরা কাহাকে আশ্রয় করিব ? কে আমাদিগকে প্ৰতিপালন করিবে ? আমরা কাহার জন্য বহুপ্ৰাণী নিধন করিয়া রণজিয়ী হইলাম ? আপনি না থাকিলে অগত্যা পুনর্বার আমাদিকে পরাধীন হইতে হইবে। কিন্তু আমরা কখনই পর-নিগ্ৰহ সহ্য করিতে - BBB DS DD DBBD DBBBDB DBBBD sOLDD DD S তজন্য আপনিই ঈশ্বর সমীপে দণ্ডনীয়া হইবেন।” কিন্তু রাণী ইহাতে নিবৃত্ত না হওয়ায়, সেনাপতি পুনর্বার কহিলেন, “মৃত ভৰ্ত্তার অনুগামিনী হইলেই যে তাঁহার সহিত পুনঃ সাক্ষাৎ
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৮৯
অবয়ব