বিদায়-আরতি
লাখে লাখে মাজারমণ্ডিগিলাস্-ফুলের খাস্-গেলাস্,
শোষম্-ফুলের নীল সুষমায় আকুল যেথা হয় আকাশ,
মর্ত্তো যাহার নাই তুলনা, তাই যারে কয় ভূস্বর্গ,
মুগ্ধ ওরে! দু-হাত ভ’রে দে তুই তারে দে অর্ঘ্য।
* * *
গোগর-ঝাউয়ের গোকর্ণ-ছাঁদ শাখার তুষার সর্তেছে,
শালের পশম ঝল্মলিয়ে ছাগলগুলি চরতেছে,
শিস্ দিয়ে যায় রাখাল-ছেলে গুজর এবং গক্করে,
লাফিয়ে হঠাৎ হাস্তে থাকে উছট্ খেয়ে টক্করে,
ধান চলেছে চাল চলেছে পশমী মোট বস্তাতে,
মোদো হ’য়ে উঠছে মেতে আপেল-পেয়ার বাস্তাতে,
কল্কা-ছাদে নক্স এঁকে চলছে বেঁকে ঝিলম্ গো,
ফুস্ছে ফেনায় সাপবাজী তার দিন-দেওয়ালির কি রঙ্গ!
ঘূর্ণি ঘুরে চকী কেটে চল্ছে কোথাও ঝড়-গতি,
ঝঙ্কারে তার ঝঞ্ঝা বধির মঞ্জীরে ছড়ায় মোতি,
ঝম্ঝমিয়ে যায় রূপসী চাঁদি-রূপার পায় তোড়া,
ফুলিয়ে হোথা দুলিয়ে কেশর বার হ’ল ওর সাতঘোড়া,
চল্ছে নেচে কাঁচিয়ে কেঁচে পাহাড়গুলোর অচল ঠাট,
ওঠা-নামার নাগর-দোলায় দুলিয়ে আঁচল পাগল নাট,
তুঁত-পাহাড় আর খয়ের-পাহাড় পাহাড় সাদা ফট্কিরি,
নস্যি রঙের পাহাড়গুলো ভস্ম হেন যায় চিরি’,
গৈরিকে সে সাজ্ছে কোথাও, মাজ্ছে কোথাও নীল পাথর,
জম্কে এসে থম্কে হঠাৎ ঘোম্টা টেনে হয় নিথর।
* * *
কঠোর ধূসর নয়কো উষর পাথর হেথা উর্ব্বরা,
এই পাথরের স্তরে স্তরে ফসল ফলে বুক-ভরা,