বিদায়-আরতি
তবে মোদের সকল দাবী দাবিয়ে কেন রাখ্তে চাও?
দাবীর কথা পাড়্তে গেলেই কুঁচ্কে ভুরু দাব্ড়ি দাও?
মানুষ হতে দাও আমাদের, ঘূচাও মনের এ আফ্শোষ,
ঘর-শাসনের দাও অধিকার, হোম্রুলে কি এতই দোষ?
বোয়ার পেলে, চোয়াড় পেলে, পেলে তাদের দোহারগণ,
মোদের ভাগ্যে খোঁয়াড় শুধু, বুঝ্তে নারি এ কেমন।
নিজের ঘরের বন্দেজে আর নিজের দেশের খিদ্মতে
ফিলিপিনোর চাইতে অধম ভাব্ছ মোদের কোন্ মতে?
প্রাপ্য যা তাই চাইছি মোরা—যেটুক মোদের হক্ দাবী,
হাঙ্গামা এ নয়কো মোটেই, রুষ্ছ মিছে ভুল ভাবি’।
সন্দেহে তো ঢের খাটালে, এবার ছুটি দাও তারে,
সংশয়ে যে বিনাশ করে সাম্রাজ্যেরও আত্মারে;
বিশ্বাসেরে পরখ করো, দ্যাখ নয় বিশ্বাস ক’রে,
চিন্লে না লোক দেড়শো বছর একত্রে ভাই বাস ক’রে?
বুঝতে নারি খেল্তে ব’সে খেঁড়ির সঙ্গে আড়াআড়ি,
শত্রুরই বুক বাড়্ছে এতে মিটিয়ে ফেল তাড়াতাড়ি;
তোমার হচ্ছে ছক্কা পাঞ্জা খেঁড়ির কিছুই হচ্চেনাকো
বল্লে তা’ কেউ কলিকালে মান্বে এমন আশা রাখো?
দেড়শো বছর আমরা আছি পাশাপাশি বিশ্বকূলে,
গঙ্গা এবং যমুনা ধায় সঙ্গমে তরঙ্গ তুলে,
কালার গোরার এম্পায়ার এ, ঠেল্বে কারে রাখ্বে বেছে,
কালার গোরার যুক্তবেণী হরিহরের মূর্ত্তি এ যে!
জ্বলছে তেজে ন্যায়ের চক্ষু, ন্যায়ের কণ্ঠে হয় ঘোষণা,—
আইন তোমার কয় হেঁকে ওই—কেউ ছোটো না কেউ ছোটোনা,
—বল্ছে সত্য, বল্ছে ধর্ম্ম, মনুষ্যত্ব বল্ছে শোনো,
বল্ছে তোমার ঘরের লোকও, বল্ছে তোমার আপন জনও;