প্রত্যাগমন করিয়া বলিলেন, “সুরমা তাহার ভ্রাতৃবধুর হাতে দিয়াছিল। সে আবার আমার বেয়ানের হাতে দেয়।
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনার বেয়ান কাহার হাতে দিয়াছিলেন?”
সুশীলের মাতা কিছুক্ষণ কি ভাবিয়া বলিলেন, “আমি ত বাবা সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। স্বচক্ষে কিছুই দেখি নাই। তবে বেয়ান ও বেহাই ছাড়া আর সকলেই এখানে উপস্থিত আছে। একবার তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিয়া দেখি—কি বলে।”
এই বলিয়া সুশীলের মাতা পুনরায় সেই স্থান হইতে চলিয়া গেলেন এবং কিছুক্ষণ পরে ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন, “বেয়ান আংটীটা দেখিয়া বেহাইএর হাতে দিয়াছিলেন। কিন্তু বেহাই উহা কাহাকেও দিয়াছিলেন কি না সেকথা কেহই বলিতে পারে না।”
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “কোন লােক কি উহা লক্ষ্য করিয়াছিল? যাঁহার আংটী তিনি এ বিষয়ে কি বলেন? অত টাকার জিনিষটা অপরের হস্তে দিয়া তিনি কেমন করিয়া নিশ্চিন্ত রহিলেন?”
সৌভাগ্য বশতঃ আংটীর অধিকারিণী নিকটেই ছিলেন। সুশীলের মাতা তাহার নিকট গিয়া ঐ কথা জিজ্ঞাসা করিলেন। পরে তাহার উত্তর পাইয়া আমার দিকে চাহিয়া বলিলেন, “না বাবা! তাহা লক্ষ্য করে নাই। বিশেষতঃ তাহার মনে কোন প্রকার সন্দেহ ত হয় নাই। যদি হইত, তাহা হইলে অবশ্যই লক্ষ্য করিত।”
আমি তখন জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনার বেয়ান ও বেহাই ত এ দেশ ত্যাগ করিয়া গিয়াছেন। সুতরাং তাঁহাদের সহিত ত