যাত্রা মুক্তি দিতে পারি। আমি তোমায় পূর্ব্বেই চিনিতে পারিয়াছি। তােমার প্রকৃত নাম রজনীকান্ত। সেদিন একটা ঘড়ী চুরি করিয়া ছয়মাস জেল খাটিয়াছ। আবার এত শীঘ্রই যে নিজ ব্যবসা আরম্ভ করিবে, তাহা স্বপ্নেও জানিতাম না।”
আমার কথা শুনিয়া রজনীকান্ত একটা দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিল, “আপনারা না পারেন এমন কার্য্যই নাই। কিন্তু এ বিষয়ে আমার কোন অপরাধ নাই। আংটীটা যিনি বিক্রয় করিতে দিয়াছেন, তিনি আমার পরিচিত, আমি আপনাকে তাঁহার নিকটে লইয়া যাইতেছি।”
আমি সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করিলাম, “তিনি কি এই বাসায় আছেন?”
ব। আজ্ঞে না, তিনি এই পার্শ্বের বাড়ীতে আছেন। আমাকে ছাড়িয়া দিলে আমি এখনই তাঁহাকে এখানে হাজির করিতে পারি।
আমি হাসিয়া উঠিলাম। বলিলাম, “এখনও যদি আমার চক্ষে ধূলি দিবার ইচ্ছা থাকে, তাহা হইলে তাহা ত্যাগ কর। লােকটার নাম বলিয়া দাও, আমি তােমার নাম করিয়া তাঁহাকে ডাকাইতে পাঠাইতেছি।”
রজনীকান্ত অগত্যা আমার প্রস্তাবে সম্মত হইল। সে সেই বাসার দাসীকে দিয়া লােকটাকে ডাকাইয়া পাঠাইলেন।
কিছুক্ষণের পর দাসী একজন প্রৌঢ়কে লইয়া আমাদের নিকট উপস্থিত হইল। প্রৌঢ়কে দেখিবামাত্র আমি অত্যন্ত আনন্দিত হইলাম। পূর্ব্বে তাঁহাকে আরও দুই চারিবার দেখিয়াছিলাম সুতরাং আমার ভ্রম হইবার কোন কারণ ছিল না।