পাতা:বিদ্যাপতি ঠাকুরের পদাবলী - নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত.pdf/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাপতি । ‘වII করছি মুকুসুম তাহি এক হোই। কুঞ্চিত কেশ দরশে এক সোই ॥ ১• । অঙ্গহি অঙ্গ কিরণ কত ভেল । হেরি পরাভব ভৈ চলি গেল ॥ ১২। কহ কবিশেখর কী কহব কান। লাখ বয়নে নহি হোত পরমান ॥ ১ ৪ । 《: 8 ( সর্থীর উক্তি ) দুহু মুখ হেরইতে দুন্ত ভেল ধন্দ। রাহী কহ তমাল মাধব কহ চন্দ ॥ ২ । চিত পুতলা জন্ম রন্ত ছন্ত দেহ । ন জানিয় প্রেম কেহন আছু নেহ ॥ ৪ । এ সখি দেখ দেখ দুহুক বিচার । ঠামহি কোই লখই নহি পার ॥ ৬ । ধনি কহ কাননময় দেখিয় শ্যাম । সে কিয়ে গুনল মঝু পরিণাম ॥ ৮ । চউকি চউকি দেখি নাগর কান । প্রতি তরুতলে দেখ রাহী সমান ॥ ১০ । দোহে দোহা যবহু নিচয় কয় জান । দুহুক হৃদয় পৈসল পচবান ॥ ১২ ৷ ● 8br ( সর্থীর উক্তি ) দুহু রসময় তনু গুণে নহি ওর । লাগল দুহুক ন ভাগই জোর ॥ ২। কে নহি কয়ল কতহু পরকার । দুহু জন ভেদ করয় নহি পার ॥ ৪ । যে খল সকল মহীতল গেহ । ধীর নীর সম ন হেরল নেহ ॥ ৬। যব কোই বেরি অনিল মুখ আনি। ধীর দণ্ড দেই নিরসত পানি ॥ ৮ । তবহু খীর উমড়ি পড় তাপে । বিরহবিয়োগ আগ দেই বাপে ॥ ১০ । যব কোই পানি আনি তাহি দেল । বিরহবিয়োগ তবহি দূর গেল ॥ ১২। ভনই বিদ্যাপতি এহন সুনেহ । রাধা মাধব ঐসন নেহ ॥ ১৪ । ১-২ । দুই জনের রসপূর্ণ তন্ত্র, গুণের সীমা নাই ; দুষ্ট জনের যোগ জোড়া ভাঙ্গে না । ৩-৪ কে না কত রকম উপায় (দুরভিসন্ধি) করিল, দুই জনের (মধ্যে) ভেদ (বিবাদ) করাইতে পারিল না । ৫-৬ । যত গল সব রসাতলে গেল (গেহ ) (যাহারা দুষ্ট জনের মধ্যে বিচ্ছেদ উৎপাদন করিবার চেষ্টা করিয়াছিল, তাহাদের সে প্রয়াস ব্যর্থ হইল, তাঙ্গরাষ্ট লজ্জা পাইল) । দুগ্ধ ও জলের তুল্য ( এমন ) স্নেহ দেপি নাই । ৭ । কোই বেরি-- কোন বার, কোন সময় । অনিল মুখ আনি—অগ্নি মুখে আনিয়া, আগুনে চড়াইয়া । ४ । न७-कॉर्टि, झांडीं । ८मछे-निब्रां । निब्रসত—রসশষ্ঠ করে । নিরসত পানি-জল শুকাষ্টয়া ফেলে, অগ্নির উত্তাপে জল মারে। ৯ । উমড়ি—উথলিয়া । তাপে—বিরহ ব্যথায়। ১০ । বিরহ বিচ্ছেদ (হইবার) আগেই বাপ দেয় (উথলিয়া পড়িয়া যায়) । ১১-১২ । যদি কেহ তাঁহাতে জল আনিয়া দিল । बिब्रझ्-बिटछ्न डशनि लूव्र cशण । (छ्थ डेथणिब्र পড়িবার সময় জল দিলে আর দুধ পড়িয়া যায় না, যেন জলের মিলনে দুগ্ধ তৃপ্তিলাভ করে) । ১৩-১৪ । বিদ্যাপতি কহিতেছে সুন্দর স্নেহ এইরূপ, রাধা মাধবে এইরূপ প্রীতি।