পাতা:বিদ্যাপতি ঠাকুরের পদাবলী - নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sle/2 গোর পয়োধর নখরেখ সুন্দর মৃগমদ্ধ পঙ্কে লেপলা । জনি মুমেরু শশিখণ্ড উদিত ভেল জলধর জালে বাপলা ॥ অতিসারিনি হে কপট করছ কঁ লাগি । কোন পুরুষ গুনে লুবুধ তোহর মন রম্বনি গমউলছ জাগি ॥ ভণিতার অর্থ—দশাবধান কহিতেছে, গুণবান পুরুষের সহিত প্রথম প্রেমসমাগম হইল। কমলিনী যেমন ভ্রমরে ভুলিয়া থাকে, হে ভাবিনি, আলমশাহ প্রভুকে ভজনা করিয়া তাহাতে সেইরূপ অনুরক্ত হও। প্রবাদ আছে, শিবসিংহকে যখন দিল্লীতে ধরিয়া লইয়া যায়, সেই সময় বাদশাহ বিদ্যাপতির রচিত গীত শুনিয়া, প্রীত হইয়া, শিবসিংহকে মুক্ত করিয়া দেন অনেকে অনুমান করেন—“কামিনী করু অসনানে, হেরইন্তে ছিদয় হনল পচবানে”—এই পদ্ধটি বিদ্যাপতি বাদশাহের সাক্ষাতে রচনা করেন। মিথিলায় এইরূপ বিশ্বাস আছে। হয় ত এই পদটিও সেই সময়ের রচনা । যে উপাধি দিল্লীদরবার হইতে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, ভণিতায় তাহাই প্রয়োগ করিয়া অপর রমণীর বর্ণনা করিয়া বাদশাহের চিত্তবিনোদন করা কবির পক্ষে অধিকতর সম্ভব মনে হয়। দশাবধান-উপাধিযুক্ত আর কোন পদ দেখিতে পাই नाहे । দ্বিতীয় পদটির বিষয় ও অর্থ অৰিকল প্রথম পদের অনুরূপ, কেবল ভণিত ভিন্ন — বেকতেও চোরি গুপুত কর কতিখন বিদ্যাপতি কবি ভান। মহলম জুগপতি চিরেজীব জীবথু গ্যাসদেব মুলতান ॥ বিস্কাপতি কৰি কহিতেছে, প্রকাগু চুরী কতক্ষণ গোপন করিবে ? যুগপতি মুলতান গ্যাসদেৰ ( এই চুরীর বার্তা ) বিদিত আছেন, ( তিনি ; চিরজীবী হইয়া জীবিত হউন। বোধ হয়, এই গ্যাসদেব গ্যাসউদ্দীন, বঙ্গদেশের পাঠানবংশীয় রাজা। ১৩৭৩ খৃষ্টাব্দে গ্যাসউদ্দীনের মৃত্যু হয়। শিবসিংহের দানপত্রের কাল প্রচলিত বিশ্বাসমতে খৃষ্টাব্দ ১৪•• । খৃষ্ট-চতুর্দশ-শতাব্দীর দ্বিতীয়াদ্ধে বিদ্যাপতি জন্মগ্রহণ করেন। ১৩৭৩ সালের পূৰ্ব্বে তিনি কবিতা রচনা করিয়াছিলেন, ইহাতে সংশয়ের কোন কারণ নাই। মহলম ( মালুম ) ও মুলতান, এই দুই শব্দের সন্নিবেশনে অনুমান হয় যে, পদটি গ্যাসউদ্দীনের মনস্তুষ্টির জন্ত রচিত ও সম্ভবত র্তাহার সাক্ষাতে গীত । আর এক শ্রেণীর কবিতা মিথিলায় পাওয়া যায় এবং এদেশেও ভাষান্তরিত ও রূপান্তরিত হইয়া প্রচলিত আছে। সেগুলি গ্রহেলিক অথবা হেঁয়ালি কবিতা। যখন মৈথিল ও এদেশে প্রচলিত এরূপ পদে সাদৃপ্ত দেখিতে পাওয়া যায়, তখন ষে এগুলি বিদ্যাপতির রচিত নয়, এমন কথা বলা যায় না। এগুলি যে DDDBDD DDD DDDBB DBBS DDD BBBSD BBSD DDBBB DDBB BBBDD DDD বিরচিত, তাছা কল্পনা করিতে পারা যায়। এই কঠিন সমস্তাগুলি কোন পণ্ডিত পূরণ করিয়া দিতেন, অখৰ পণ্ডিতের অক্ষম হইলে কৰি নিজে অর্থ করিয়া দিতেন ও সাধুর্ধ্বনিতে রাজসভা ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিত, এরূপ অনুমান অসঙ্গত মনে হয় না। পুথিতে এই শ্রেণীর একটি পদের ভণিত এইরূপ— ভন বিভাপতি গুস্থ উমাপতি সকলগুণনিধান। ষে ই পদক অর্থ লগাৰথি সে জন বড় সেয়ান ॥ বিভাপতি কৰিতেছে, সকলগুণনিধান উমাপতি গুন, যে এই পদের অর্থ লাগাইৰে ( করিৰে ), সে জন