পাতা:বিদ্যাপতি - যতীন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিছাপতি। o ज्री । কান্থ । এই যে এসেছ, মাণিক জোড় ! এতক্ষণ ভাবছিলেম যে হাঙ্ক জালাতে এখনো যুগল মূৰ্ত্তি হাজির হচ্ছেন না কেন ! হাড় জালিযে মাস জালিয়ে প্রাণ জালিযে চোর— রাইকে ছেড়ে চন্দ্রার কুঞ্জে রাতি করে ভোর । কিশো । তাই বৃন্দে কঁাদে মনের খেদে—দুঃখের নাইক ওর । डौ । কামু । কিশো। চুপকর হতচ্ছাড়া, চুপকর ছুড়ী। যা, বেশী বক্বি ত ফুলের মালা ছিড়ে দূর করে তাড়িয়ে দেব বলছি। রাগ করন বুন্দে দূতী, ফুলের মালা দেখে— জানি সখি, পাচ ফুলেব বাণ বিধছে তোমার বুকে । আমিও ঘাট মানছি সজনী— আজ অবধি শ্রাম গুণমণি— কালশণী তোমার আঁধার কালো মুখে ভাসবে মুখে, ভালে যথা,— ছিনে জোকাট— শেওলা গামল পাক পুকুরের বুকে । যা আর বক্তে হবে না! দেখছিল না রাণীর মেজাজ ভাল নয় ? তোর কাছে থাকলে কি কারু মেজাজ ঠিক থাকেরে মাগী ? মা আমাদের নন্দরাণী। কাদছিস কেন মা ? এই যে আমরা এসেছি মা। ওমা চেয়ে দেখনা মা—বড় ক্ষিদে পেয়েছে, একটু ননী দিবিনা মা ? কেরে, কেরে মধুর তানে আমার প্রাণ ভরিয়ে দিলি ? কান্ধু ? কিশোরী? সত্যি কি তোরা সেই ব্রজের কাকু কিশোরী ? আমার প্রাণের আঁধার ঘুচিয়ে—আলোকের পথে হাত ধরে নিয়ে যেতে মর-জগতে নেবে এসেছিল ?