পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।

শাস্ত্র চিন্তায় নিমগ্ন। কে আসিয়াছেন তৎ প্রতি কিছু মাত্র লক্ষ্য নাই। কিছুক্ষণ পরে নজর পড়িল, অপ্রতিভ হইয়া রাজাকে অভিবাদন করিয়া বসিবার জন্য আসন প্রদান করিলেন। রাজা বড়ই সন্তুষ্ট হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের অসঙ্গতি হইয়াছে কি?” ভট্টাচার্য্যের তখনও ন্যায়ের অসঙ্গতি ভাবিলেন, বলিলেন “না অসঙ্গতি নহে অপর বিষয় ভাবিতে ছিলাম।” রাজা হাসিলেন। তাঁহার সাধু ভাষা প্রয়োগ স্থানোচিত হয় নাই ভাবিয়া স্পষ্টাক্ষরে জিজ্ঞাসা করিলেন, ভট্টাচার্য্য মহশায়ের কোন কিছু অভাব আছে কি? তদুত্তরে ভট্টাচার্য্য মহাশয় যাহা বলিলেন তাহা শুনুন; ভট্টাচার্য্য মহাশয় বলিলেন, “মহারাজ, আপনার প্রদত্ত ভূমি হইতে কৃষকেরা যে তণ্ডুল দেয় তাহাতে আমার সশিষ্য অন্নের সংস্থান বেশ আছে। আর ব্যঞ্জন জন্য কোন ভাবনা নাই। এই সম্মুখস্থ তিস্তিড়ী বৃক্ষটী দেখিতেছেন, ইহার ফল চয়ন করি, পত্রও চয়ন করি তাহাতেই আমাদের যথেষ্ট সংসার যাত্রা নির্ব্বাহ হয়,