পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।

তাহাদের বড় কষ্ট, বড় বিপদ। বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বীয় জীবনে দেখাইয়াছেন যে, বাস্তবিক তাঁহার গাড়ী ঘোড়ার দরকার ছিল না। ইচ্ছা করিলে যে শ্রেণীর লোকে আজ কাল গাড়ী ঘোড়া ব্যবহার করিয়া থাকেন, সেই হিসাবে বিদ্যাসাগর মহাশয় যে গাড়ী ঘোড়া ব্যবহার করিতে পারিতেন না তাহা নহে। তাঁহার মনে সে ইচ্ছা ছিল না। তিনি চিরদিনই পদব্রজে যাইতেন, তবে নিতান্ত অসমর্থ হইলে সর্ব্বাপেক্ষা সুলভযান পাল্‌কীর সাহায্য লইতেন মাত্র। বেশভূষার সম্বন্ধে অধিক কি বলিব, সেত অধিক দিনের কথা নয়। আজও আমরা অন্তরে তাঁহাকে প্রত্যহই দেখিতেছি। সেই সামান্য চটী চর্ম্মপদুকা শোভিত পদযুগল, সেই স্বল্প মূল্যের শুভ্র থান কাপড়ের উপর পরিষ্কার অথচ সামান্য মোটা থান চাদর, সেই অধ্যাপকোচিত মুণ্ডিত অসীম বিদ্যাবুদ্ধির খনি মস্তকমণ্ডল, তাহাতেই তাঁহার কত শোভা, সে সৌন্দর্য্য দেখে কে? সে শোভা বসনের নয়, সে শোভা ভূষণের নয়, সে