পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮০
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।

বর্ণনা বিষম অঙ্গহীন হয়। মনুষ্য-প্রকৃতিতে সকল প্রযুক্তির বাজ নৈসর্গিক নিয়মানুসারে অন্তর্নিহিত থাকে, তবে যিনি যে প্রবৃত্তির উৎ কর্ষ সাধন করেন তাহার সেইটাই ফুর্ত্তি পায়। ভালবাসাও মানুষের সেইরূপ একটী হৃদয়ের অন্তনিহিত প্রবৃত্তি। জন্তুদের ভিতর যত উচ্চ স্তরে উঠা যায় যেন ভালবাসার সঞ্চার তত বেশী দেখিতে পাওয়া যায়। সরীসৃপের ভিতর কিছু মাত্র ভালবাসার চিহ্র দেখিতে পাওয়া যায় না। মৎস্যে যেন ভালবাসার একটু সূচনা আছে বলিয়া বোধ হয়, অন্ততঃ ইহাদের ভিতর অসঙ্গলি আছে ও সরীসৃপের ন্যায় সন্তান দ্রোহিতা নাই, স্বজাতিহিংসা নাই, পক্ষীদের ভিতর তদপেক্ষা ভালবাসার চিহু অধিক লক্ষিত হয়। পক্ষী পক্ষীকে ভালবাসে, পুষিলে পোষ মানে, যে পোষে তাহাকে ভালবাসে সর্বদাই দেখা যায়। তৎপরে এক স্তর উঠিলে স্তন্যপায়ীদের ভিতর হস্তীর পালকপ্রীতি, কুকুরের প্রভুভক্তি, অশ্বের মনুষ্যানুরক্তি, ইহাদের নিজ সন্তানে স্নেহ,পরস্পর ভালবাসা অম্লাধিক পরিমাণে শক্ষিত হয়।