পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৮
বিদ্যাসাগর।

তিনি স্বীয় দৌহিত্রের নিকট একটু হাসিয়া বলিয়ছিলেন,—“ওরে আমি বেশ সংস্কৃত লিখেছি তো।”

 ফোর্ট উইলিয়ম্ কলেজে অধ্যাপনার কালে বিদ্যাসাগর মহাশয় সাহেবদের পরীক্ষক হইতেন। তদুপলক্ষে বিদ্যারত্ন মহাশয় লিথিয়াছেন,—“পরীক্ষায় পাস না হইলে, কোন কোন সিবিলিযনকে দেশে ফিরিয়া যাইতে হইত। এ কারণ মার্সেল সাহেব দয়া করিয়া ঐ সিবিলিয়নদের কাগজে নম্বর বাড়াইয়া দিতে বলিতেন। অধ্যক্ষের কথা না শুনিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় ন্যায়ানুসারে কার্য্য করিতেন। উপরোধ করিলে ঘাড় বাঁকাইয়া বলিতেন, অন্যায় দেখিলে কার্য্য পরিত্যাগ করিব। এ কারণ সিবিলিয়ন্‌ ছাত্রগণ ও অধ্যক্ষ মার্সেল সাহেব তাহাকে আন্তরিক ভক্তি ও শ্রদ্ধা করিতেন।”

 বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এরূপ ন্যায়পরতা অসম্ভব নয়; কিন্তু রাজকৃষ্ণ বাবুর মুখে মার্সেল সাহেবের যেরূপ সদাশয়তা ও সৎসাহসিকতার কথা শুনি, তাহাতে তিনি বিদ্যাসাগরকে এরূপ প্রস্তাব করিয়াছিলেন, এ কথা হঠাৎ স্বীকার করিতে যেন মন চাহে না। তবে স্বজাতি-প্রেমের কথা স্বতন্ত্র।